এ কে এম আব্দুল্লাহ
একদিন বৃক্ষ ভেঙে পাতা ঝরে যায় রাস্তায়। মানুষও। রক্ত শুকিয়ে পাঁজরের সাথে লেগে যায়। আর পচা স্যামন’ এর মতো শরীর থেকে খুলে খুলে পড়ে মাংসের রওয়া। মৃত ঠোঁটে দীর্ঘচুম্বনের দাগ ইরেজ হতে থাকে। আর পুরানো বাড়ির যে ঘরটিতে আমার জন্ম হয়েছিল, যে ঘরটি আমার সাথে নিয়ে যাবো, এই ভেবে ঘরটি সাজিয়েছিলাম ইচ্ছেমত। সেই ঘরটি ঝুলে থাকে বরই গাছের বড় ডালের সাথে আত্মহত্যার ভঙ্গিতে। তার চারপাশে জ্বল জ্বল করে আমার রেখে যাওয়া স্বনির্বাচিত কিছু পেইন্টেড শিশুসমগ্র আর কিছু ঘষামাজা বাপদাদার ফোটেজ।
এখন সন্ধ্যাসভ্যতায় যখন জ্বলে ওঠে বিগত ছায়ার ফোটেজ। ইলেকট্রিকের কুকারে লাফিয়ে ওঠে চাঁদের ভাঙা টুকরো। আর যে পথে আমি হারিয়ে গিয়েছি একদিন আমার পায়ের ছাপ মাড়িয়ে সে পথে চাঁদের টুকরোগুলোও হারিয়ে যেতে থাকে।
এরপর বাজেয়াপ্ত অরণ্যে খিল এঁটে কেউ হাতের আঙুলে তুলে দেয় চোখে গভীর অন্ধকার।