অনুমোদন না থাকা এবং বিপুল পরিমাণের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ব্যবসা না পরিচলনা করছে এমন অভিযোগে আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকোতে অভিযান পরিচালনা করেছে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বেলা ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর জুগিয়া কদমতলার আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকো নামের ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচলনা করা হয়।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন- কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুষ্টিয়া অঞ্চলের রাজস্ব কর্মকর্তা আম্বিয়া জাহিদ।
এ সময় এনএসআই এবং র্যাবের কর্মকর্তারা অভিযানে অংশ নেন।
প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তড়িঘড়ি করে সাংবাদিকদের পাশ কাটিয়ে গাড়িতে উঠে অভিযান স্থান ত্যাগ করেন কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ কুষ্টিয়া অঞ্চলের রাজস্ব কর্মকর্তা আম্বিয়া জাহিদ।
অভিযানের বিষয় জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন না বলে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, বেঙ্গল টোব্যাকোতে অবৈধভাবে কাঁচা তামাক (র টোব্যাকো) ও প্রসেস টোব্যাকো স্টোর করা হয়। পরে এসব তামাক অবৈধভাবে ভাবে যারা সিগারেট তৈরি করে তাদের কাছে বিক্রি করে। এই বিক্রির প্রক্রিয়া পুরোটাই ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে।
তিনি আরও জানান, আজকের অভিযানে প্রায় ৭ লাখ কেজি (৩৫ হাজার কার্টুন) প্রসেস টোব্যাকো এবং ৫০ লাখ কেজি কাঁচা তামাক পাওয়া গেছে। যার ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ ১৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৩ হাজার ৭২১ টাকা (কাঁচা তামাক) এবং ২ কোটি ৮৭ লাখ ৯১ হাজার ৩০৪ টাকা (প্রসেস টোব্যাকো। এত কিছু পাওয়ার পরও আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকোকে কোন জরিমানা করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে কিছু কাগজ পত্র নিয়ে গেছে এবং সাবধান করে দিয়ে গেছে।
অভিযানের বিষয়ে আতিয়ার বেঙ্গল টোব্যাকো জানান, এই তামাক ভিরগো টোব্যাকো, তারা টোব্যাকো এবং গ্লোবাল টোবাকোর। তবে গ্লোবাল টোব্যাকো তামাক প্রসেস করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।