সারাদিন অফিসে বসে বসে কাজ। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার, বাইরের ভাজাপোড়া খাবার। তার ওপর দৈনন্দিন কাজের চাপ আর চূড়ান্ত ব্যস্ততায় জীবনযাত্রায় অনিয়ম বেড়েই চলেছে। আর এই অনিয়মের ফলে বাড়ছে শরীরের স্থূলতা।
চিকিৎসকদের মতে, স্থূলতা বা বাড়তি মেদ থেকে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। এদিকে, ঘরে-বাইরে কাজের চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোরও উপায় নেই। তা হলে কী করবেন? এর জন্য সহায়ক হতে পারে কিছু পানীয়।
এসব পানীয় পানে জিমে না গিয়ে, ঘাম না ঝরিয়েও মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন অনায়াসে।
জিরা পানি
জিরার “থার্মোকুইনান” নামক যৌগটি পেটে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না। এছাড়াও জিরাতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ পেটফাঁপা, গ্যাস, অম্বল কমাতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভুসি
এই পানীয়ে থাকা ফাইবার অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। খাবার হজমে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুন কাজ করে ইসবগুলের ভুসি। সামগ্রিক ভাবে পেট ভালো থাকলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে পরিপাকের ওপর।
মৌরি ভেজানো পানি
মেদ ঝরাতে নিয়মিত মৌরি ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। মৌরি পেট ঠান্ডা রাখে। মৌরিতে থাকা যৌগগুলি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পরিপাক উন্নত করতেও সাহায্য করে মৌরি ভেজানো পানি।
জোয়ান ভেজানো পানি
ভরপেট খাবার খাওয়ার পর একটু জোয়ান চিবিয়ে খেলে হজম হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। পেটের ভেতর কোনো রকম ক্ষত সারাতেও জোয়ানের ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদ মতে। এছাড়া পেট ফাঁপার সমস্যাতেও দারুন কাজ দেয় জোয়ান।
সবজির রস
গবেষকরা বলছেন, যাদের নিয়মিত শাক-সবজি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাদের শরীরে মেদ জমার প্রবণতা কম। কারণ, ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। তাই মেদ ঝরাতে কাঁচা কাওয়া যায় এমন সবজির রস খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।