Friday, November 22, 2024

মার্কিন বিমানের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠাল রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠানোর কথা জানিয়েছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, বাল্টিক সাগরের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি কৌশলগত বোমারু বিমানের ‘রাষ্ট্রীয় সীমান্ত লঙ্ঘন রোধ করতে’ এসইউ-২৭ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে তারা।

বুধবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রুশ সামরিক বাহিনী মার্কিন বিমানের যে কোনও সীমান্ত লঙ্ঘন প্রতিরোধ করেছে এবং ‘আকাশসীমা ব্যবহারের আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনেই রুশ ফাইটারের উড্ডয়ন কঠোরভাবে পরিচালিত হয়েছে’।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সীমান্ত থেকে বিদেশি সামরিক বিমানগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার পর রুশ ফাইটার জেটটি তার বিমান ঘাঁটিতে ফিরে গেছে। রাশিয়ান ফাইটার জেটের ক্রুরা আকাশে উড্ডয়নরত লক্ষ্যবস্তুকে মার্কিন বিমান বাহিনীর দু’টি বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমান হিসাবে চিহ্নিত করেছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে, রাশিয়ার যুদ্ধবিমানকে ব্যবহার করে মার্কিন বিমান আটকানো হয়েছে।

তিনি বলেছেন, বি-১ বোমারু বিমানগুলো ইউরোপে একটি নির্ধারিত মহড়ায় অংশ নিচ্ছিল এবং মার্কিন বিমানের সাথে রাশিয়ান ফাইটারের মিথস্ক্রিয়া ছিল ‘নিরাপদ ও পেশাদার’।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘আমাদের কাছে দু’টি বি-১ বোমারু বিমান আছে যেগুলো বোমারু টাস্ক ফোর্সের অংশ… এই দু’টি সামরিক বিমান আমরা নিয়মিতভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উড্ডয়ন করে থাকি। ইউরোপে একটি দীর্ঘ-পরিকল্পিত মহড়ায় অংশ নিতে (বিমান দু’টি রুশ আকাশ সীমান্তের) পাশ দিয়ে যাচ্ছিল এবং আমার কাছে মনে হয়েছে যে, রাশিয়ান বিমানের সাথে আমাদের মিথস্ক্রিয়া ছিল নিরাপদ ও পেশাদার। তাই সেই বিষয়ে রিপোর্ট করার মতো উল্লেখযোগ্য কিছু নেই।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের ব্যাপক টানাপোড়েন চলছে। ওয়াশিংটন তার মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে এবং ক্রমশ তার আকার ও পরিধিও বাড়ছে। আর এর মধ্যেই মার্কিন বিমান বাহিনীর প্লেনের সীমান্ত লঙ্ঘন ঠেকাতে যুদ্ধবিমান পাঠাল রাশিয়া।

এর আগে গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নজরদারি ড্রোন কৃষ্ণ সাগরে বিধ্বস্ত হয়। মূলত আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় রাশিয়ান যুদ্ধবিমান সেটিকে বাধা দেওয়ার পর ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়েছিল।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছিল, রাশিয়ান জেট ওই ড্রোনের প্রপেলারে আঘাত করার পরে সেটি সমুদ্রে পড়ে যায়।

এছাড়া গত এপ্রিলের শেষের দিকে স্কটল্যান্ডের উত্তরে একটি রাশিয়ান সামরিক বিমানকে আটকানোর জন্য যুক্তরাজ্য থেকে ফাইটার জেটগুলো কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর