বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান নব্বই দশকের গোড়ায় দিকে সেই সময়কার সুপারস্টার অমৃতা সিংহকে বিয়ে করেন। তাদের বিবাহিত জীবন সুখের ছিল না। ১৩ বছর এক ছাদের তলায় থাকার পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তারা। আয়-রোজগার কম থাকায় সাইফকে প্রায়ই গালাগাল করতেন অমৃতা। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে তাকে ডিভোর্স দেন সাইফ। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- রাহুল রাওয়াইল পরিচালিত ‘বেখুদি’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পান সাইফ। কাজলের বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগ পান তিনি। কয়েকটি দৃশ্যের শুটিংও শেষ করে ফেলেন তিনি। সেই সেটেই সাইফের সঙ্গে প্রথম দেখা হয় অমৃতার।
রাহুলের প্রিয় বান্ধবী ছিলেন অমৃতা। তাই ‘বেখুদি’ ছবির সেটে তাকে ডাকেন রাহুল। সেটে উপস্থিত সব তারকা অমৃতার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাইফও বাদ ছিলেন না। ছবি তোলার সময় অমৃতার সঙ্গে সামান্য কথোপকথনও হয় সাইফের।
প্রথম দেখার পর তার প্রেমে পড়ে যান নবাবপুত্র। কিভাবে অমৃতার সঙ্গে আবার দেখা করা যাবে তার উপায় খুঁজতে থাকেন তিনি। শেষমেশ অমৃতার বাড়ির ফোন নম্বর জোগাড় করেন অভিনেতা। দেরি না করে অমৃতাকে ফোনও করে ফেলেন তিনি।
অভিনেত্রীকে ডেটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন সাইফ। আর এভাবেই তাদের সম্পর্কের ভিত শক্ত হতে থাকে।
১৯৯১ সালে অমৃতা যখন তার ক্যারিয়ারে সাফল্যের চূড়ায়, সেই সময় সাইফকে বিয়ে করেন তিনি।
সাইফ এক সাক্ষাতকারে জানান, তার উপার্জন কম হওয়ার কারণে দিনের পর দিন তাকে কড়া কথা শোনাতেন অমৃতা। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক বিষিয়ে যেতে থাকে। একপর্যায়ে অমৃতার সঙ্গে সাইফের ১৩ বছরের বিবাহিত জীবন সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়। ২০০৪ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুজনে।
এই অভিনেতা আরও জানান, পাঁচ কোটি টাকার চুক্তিতে অমৃতার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় সাইফের। বিচ্ছেদের পরই আড়াই কোটি টাকা অমৃতার হাতে দেন তিনি। তারপর থেকে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা করে দেওয়ার চুক্তি হয়। যত দিন না পর্যন্ত সারা এবং ইব্রাহিম নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন, তত দিন সাইফকে প্রতি মাসে সমপরিমাণ টাকা দিয়ে যেতে হবে বলে চুক্তি হয়।
সাইফের অভিযোগ, সম্পর্ক থাকাকালীন তার উপার্জন নিয়ে অমৃতার কটাক্ষের শিকার হতেন। এমনকি বিচ্ছেদের পর নাকি সারা এবং ইব্রাহিমের সঙ্গে সাইফকে দেখাও করতে দিতেন না অমৃতা।