মাদারীপুরে আদা, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ডিম, আলু ও মাছ-মাংসের বাজার নিয়ন্ত্রণহীন। প্রতি সপ্তাহেই বাড়ছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে ফার্মের মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি ও কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি বিক্রি দরে হচ্ছে।
এতে আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। মাদারীপুরের বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে এমনই তথ্য পাওয়া গেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি ক্রেতাদের।
মাদারীপুর পৌর শহরের চৌরাস্তা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের শাকসবজির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। আদা, আলু, কাঁচামরিচ ও ডিম রের্কড দামে বিক্রি হলে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে। সাদা ককের দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহে ২১০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ফার্মের মুরগির ডিম হালি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাছ ও মাংসের বাজারও চড়া। এক কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকা ও খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাদারীপুরের ইটেরপুল বাজারে প্রতি কেজি আদা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ এবং প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মসলার বাজারও চড়া। ভোজ্য তেল আগের মতো দামেই বিক্রি হচ্ছে।
ইটেরপুল বাজারের ক্রেতা আরাফাত শরীফ বলেন, দোকানগুলোতে শাকসবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম বেশি। প্রতি কেজি আলু ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ধনিয়া পাতা ২০০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা, গাজর ৯০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা ও পেঁপে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা কম ছিল।
একই বাজারের জেসমিন আক্তার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, গত সপ্তাহেকাচাঁমরিচ ছিল ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কিন্তু এখন ২০০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের চেয়ে অনেক দাম বেড়েছে ডিমেও। আগে হালি ৪০ টাকা কিনলেও বর্তমানে ৫০ টাকা ধরে কিনতে হচ্ছে। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন শেষ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মো. বাবুল হোসেন বলেন, বাজারে কেউ ইচ্ছেকৃতভাবে দাম বাড়ালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতি সপ্তাহে দু’তিন দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তারপরেও যদি কেউ অভিযোগ দেয়, তাহলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ব্যবস্থা নেয়া হয়। আগামীতেও এ ব্যাপারে অভিযোন অব্যাহত থাকবে।