ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনি মারা গেছেন। দেশটির রাজধানী মিলানে সান রাফায়েল হাসপাতালে ৮৬ বছর বয়সী এ নেতার মৃত্যু হয়। তিনি ক্রনিক লিউকেমিয়ায় (একধরনের রক্তের ক্যানসার) ভুগছিলেন। ইতালির গণমাধ্যম সোমবার এ খবর দিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
যৌন কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতির অভিযোগে বিশিষ্ট ধনকুবের ও মিডিয়া টাইকুন বেরলুসকোনির কারাদণ্ড হয়। তিনি ইতালির মধ্য ডানপন্থী ফোরজা ইতালিয়া দলের নেতৃত্বে ছিলেন। গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির নেতৃত্বে জোট সরকারে যোগ দেয় দলটি। তখন বেরলুসকোনি ইতালির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে আপনা–আপনিই নির্বাচিত হন।
ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো বলেন, বেরলুসকোনির মৃত্যুতে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। বেরলুসকোনিকে অনেক বেশি ভালোবাসতেন বলেও টুইটারে উল্লেখ করেছেন ক্রোসেত্তো।
বেরলুসকোনি ইতালির বৃহত্তম গণমাধ্যম কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯০ এর দশকে তিনি ইতালির রাজনীতিতে যোগ দিয়ে কিছুদিনের মধ্যেই অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতায় পরিণত হন এবং পরে চারবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেন।
বেরলুসকোনি ১৯৯৪ সালে প্রথম ইতালির প্রধানমন্ত্রী হন। এরপর ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশটির চারটি সরকারের নেতৃত্ব দেন তিনি।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রোসেত্তো বলেন, বেরলুসকোনির মৃত্যুতে বড় ধরনের শূন্যতা তৈরি হয়েছে। টুইটার পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘একটি যুগের অবসান ঘটেছে। বিদায় সিলভিও।’
বেরলুসকোনির জন্ম ১৯৩৬ সালে মিলানে। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বিক্রির মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। পরে তিনি একটি আবাসন নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। পরবর্তী সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলেরও মালিক হন তিনি। এর মধ্য দিয়ে বেরলুসকোনি ইতালির শীর্ষস্থানীয় ধনীদের কাতারে নাম লেখান।