রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীর্ষ জেনারেলদের সঙ্গে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের সংঘাতে মস্কোতে সরকার পতন ঘটতে পারে, পশ্চিমাদের এমন আশায় পানি ঢেলে দিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনের পতন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বড়সড় ঝামেলা চলছে রাশিয়ায়; কিন্তু (অভ্যুত্থান নিয়ে) আশাবাদী হওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। পরে আরও মারাত্মক হতে পারে, শনিবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
রাশিয়ায় অস্থিরতা নিয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ মন্তব্যের কিছু সময় পরই ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বিদ্রোহের ইতি টেনে মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া বাহিনী সদস্যদের ক্যাম্পে ফিরে যেতে বলেন।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় রুশ নেতৃত্বের সঙ্গে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী পুতিনের একসময়ের মিত্র প্রিগোজিন রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে চলে যাবেন, তাকে এই বিদ্রোহের জন্য কোনো ধরনের বিচারের মুখোমুখিও হতে হবে না।
ওয়াগনারের এই অল্প সময় ধরে চলা বিদ্রোহের মধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উল্লসিত মন্তব্য করতে দেখা গেলেও তার পশ্চিমা মিত্ররা পুতিনের সরকারকে ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে প্রকাশ্যে আশাবাদ ব্যক্ত করা থেকে বিরত ছিলেন।
যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কিছু দিন আগেও রাশিয়ায় সরকার পতনের আহ্বান জানিয়েছিলেন, তিনি শনিবার এ নিয়ে মুখই খোলেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মস্কোর পরিস্থিতি নিয়ে ‘মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন’, আনুষ্ঠানিক ভাষ্যে কেবল এটুকুই বলা হয়েছে।
পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ওয়াগনারের এই বিদ্রোহকে দেখিয়েছে রাশিয়ার সরকারের অস্তিত্বের সংকট হিসেবে।
পশ্চিমা যুদ্ধজোট ন্যাটোতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত কার্ট ভলকার সিএনএনকে বলেছিলেন, ওয়াগনারের বিদ্রোহকে ঘিরে এই অস্থিরতা ‘পুতিনের শেষ’ এবং ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ শেষের সূচনা’ ঘটাবে।