যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব আরও গভীর করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দেশটির বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। শুক্রবার এক টুইট বার্তায় এ কথা বলেন তিনি।
ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি এই টুইট করেন।
টুইট বার্তায় উজরা জেয়া বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায্য শ্রম চর্চা এবং মানবিক সহযোগিতা বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরানকে ধন্যবাদ। আমি আমাদের শক্তিশালী অংশীদারত্বকে আরও গভীর করতে আগ্রহী।
উজরা জেয়া গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে, সর্বজনীন মানবাধিকারকে এগিয়ে নিতে, শরণার্থী ও মানবিক ত্রাণকে সমর্থন করতে, আইনের শাসন ও মাদকবিরোধী সহযোগিতা, দুর্নীতি ও অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে, সশস্ত্র সংঘাত রোধ করতে এবং মানবপাচার নির্মূলে বিশ্বব্যাপী মার্কিন কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দেন।
আগামী ১১ জুলাই উজরা জেয়ার নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসছেন। এই সফরে দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইড’র এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর থাকবেন।
এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতাকে ‘নয়া উপনিবেশ আখ্যা দিয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের তৎপরতাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা হিসেবে দেখছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের আসন্ন সফরের আগে বৃহস্পতিবার এমন মনোভাব প্রকাশ করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বাংলাদেশ প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কীভাবে নির্বাচন হবে, সেটা দেশটির আইনে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। কাজেই বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের রাজনীতিবিদদের তৎপরতাকে নব্য উপনিবেশবাদ ছাড়া কী বলা যেতে পারে।