রাজধানীতে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণবিষয়ক ব্যবসায়ী সম্মেলনে আজ শনিবার (১৫ জুলাই) যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীত করা আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম ভিশন।
দেশের বাণিজ্য সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এফবিসিসিআই) এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠায় বেসরকারি সেক্টরের অবদানের পাশাপাশি বর্তমান প্রেক্ষাপট ও করণীয় বিষয় এতে গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হবে।
নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘বিজনেস কনফারেন্স অন বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন গতকাল শুক্রবার এখানে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পাবেন এবং তাদের চাহিদার কথা জানাতে পারবেন।’
সংবাদ সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি আশা প্রকাশ করেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে এই সম্মেলনে সঠিক দিকনির্দেশনা পাওয়া যাবে।
মো. জসিম উদ্দিন জানান, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাত কী ভূমিকা রাখবে, সেসব বিষয় নিয়ে সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হবে।’
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা যে বড় পরিসরে আন্তর্জাতিক বিজনেস সামিট করেছিলাম, সেখানকার আলোচনা, পরামর্শ, সিদ্ধান্ত সামিটে প্রাপ্তির বিষয়গুলো একটি বই আকারে প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে এই বই সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, ‘আমরা ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে যেতে চাই, সেখানে যেসব সম্ভাবনা আছে, বাধা আছে সেই বিষয়গুলো এই রিপোর্টে সংযুক্ত থাকবে। সেই সঙ্গে এই সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা তাদের অভিমত, সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।’
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে দেশের ব্যবসায়ী নেতা, বিভিন্ন চেম্বার, অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহসভাপতি এম এ মোমেন, সালাউদ্দিন আলমগীর, মো. হাবীব উল্লাহ ডন, এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।