বর্ষায় এখন ভরা মৌসুম চললেও বাজারে কমেনি মাছের দাম। বরং তা বেড়েই চলছে। স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ ও শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও সেই অর্থে দাম কমেনি। আলু ও চিনির দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। শুক্রবার (২১ জুলাই) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায় এ চিত্র।
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে মো. রাকিবুল হক নামের একজন বেসরকারি চাকরিজীবি বলেন, বাজারে আসি এক পরিকল্পনা নিয়ে কিন্তু বাড়তি দামের কারণে পরিকল্পনা ঠিক থাকে না। সাধ থাকলেও সাধ্যের মধ্যে মাছ-মাংস কেনা যায় না। পাঙ্গাশ, তেলাপিয়ার দামও ২০০ টাকার উপরে।
তিনি আরও বলেন, মাসের আজ ২১ তারিখ এসময়ের মধ্যেই পকেট ফাঁকা হয়ে গেছে। বাজার দর যেভাবে বাড়ছে তাতে সংসার চালাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে।
টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে তেলাপিয়ার কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাশের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। এ জাতীয় মাছেই আমিষের চাহিদা মিটতো নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। কিন্তু দাম বাড়ায় সেটিও এখন তাদের পাতে জুটছে না।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে এখন প্রতি কেজি করলা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং কচুমুখি ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
আদার দাম প্রায় দুই মাস ধরে ৩০০ টাকার উপরে। এরমধ্যে চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়েছে ১৭৯ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে স্বস্তি ফেরেনি চিনির দামে। প্রতি কেজি চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।