বিশ্বব্যাপী, টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে ৫টি প্রস্তাবনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ফুড ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার (২৪ জুলাই) ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে এ প্রস্তাবনা পেশ করেন তিনি।
আগামীর সংকট মোকাবিলায় পাঁচ দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনকারী শীর্ষ ১০টি দেশের একটি বাংলাদেশ। স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়ন করে নিজেদের খাদ্যের ব্যবস্থা নিজেরাই করতে চায় বাংলাদেশ।
এ ছাড়া জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ‘ফুড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন-
প্রথমত, আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ডিল’-কে চালু রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রফতানির বিধি-নিষেধগুলো তুলে নেয়াসহ যেকোনো বাণিজ্য বাধা অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া একান্ত দরকার।
তৃতীয়ত, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ‘ফুড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।
চতুর্থত, কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে তাল রেখে ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো-ইনফরমেটিক্স ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া বাঞ্ছনীয়।
পঞ্চমত, প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অপচয় রোধে তরুণ সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।