বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। এই মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সামনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হয়।
যুগপৎ ধারায় ঘোষিত এক দফা—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। দলটির মহাসমাবেশ ও যুগপৎ আন্দোলন-সংগ্রামে শরিক দলগুলোর সমর্থন রয়েছে।
সকাল থেকেই মহাসমাবেশেকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায়। এ সময় নেতাকর্মীদের সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সারাদেশ থেকে নয়াপল্টনে আসা বিএনপি নেতাকর্মীরা বলেন, গতকাল রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি। আসতে কষ্ট হলেও মহাসমাবেশে এসে খুবই ভালো লাগছে। গতকাল রাতেই বের হয়ে এসেছি, সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না।
তারা আরও বলেন, সরকার স্বৈরাচারের রূপ ধারণ করেছে। এই সরকার আর জনগণের সরকার নয়। তাই বিএনপি সরকার পতনের যে কর্মসূচি দিয়েছে, এর শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথেই থাকব। সরকারের পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়েই আমরা ঘরে ফিরব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে বিএনপিকে তাদের পছন্দের জায়গায় ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। সমাবেশের অনুমতি দেওয়ায় ডিএমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মহাসমাবেশের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিএমপির ইতিবাচক ভূমিকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
তিনি বলেন, আশা করি তারা বিএনপির মহাসমাবেশের নিরাপত্তা বিধানে যথাযথ সহযোগিতা করবেন। সমাবেশে আসার পথে জনগণ ও বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কোনো প্রকার বাধা প্রদান করা হবে না।
আর ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, সমাবেশে লাঠিসোঁটা, কোনো ব্যাগ বহন করা যাবে না। রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো বক্তব্য দেওয়া যাবে না। কোনো কুচক্রীমহল যেন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য পুলিশের পাশাপাশি সমাবেশ এলাকায় বিজিবি মোতায়েন থাকবে।