বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ওই আইন সংস্কার এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সরকারের দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতিকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। ‘সমালোচনাকারীদের আটক, গ্রেপ্তার এবং তাদের মুখ বন্ধ রাখার জন্য’ আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছিল।
আইনটি পরিবর্তনের বিষয়ে গতকাল আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ নামটি বদলে তার বদলে নতুন নাম হবে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধিকাংশ ধারা নতুন আইনেও থাকবে। তবে বিতর্কিত বিভিন্ন ধারায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
যেসব ধারা নিয়ে বেশি বিতর্ক সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে সাজা কমিয়ে আনা হবে। ‘জামিন অযোগ্য’ কয়েকটি ধারাকে করা হয়েছে ‘জামিন যোগ্য’। এছাড়া মানহানি মামলায় কারাদণ্ডের বিধান বাদ দিয়ে রাখা হবে শুধু জরিমানার বিধান। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে কমানো হবে সাজা।
নতুন আইনটি যেন আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ম্যাথু মিলার বলেন, অংশীজনরা যেন ওই আইনের খসড়া পর্যালোচনা করতে পারে এবং মতামত দিতে পারে, সেই সুযোগ রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন তারা।