প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২২ হাজার ১০১টি বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে আরও ১২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন-মুক্ত ঘোষণা করা হলো।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর মাঝে ভূমিসহ সেমিপাকা এই ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খুলনার তেরখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লি আশ্রয়ণ প্রকল্প, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে আরও ২২ হাজার ১০১ পরিবারের হাতে জমির দলিল তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১২টি জেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ধারাবাহিক কার্যক্রমে মুজিববর্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরিবার ঘর পেয়েছে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপের আওতায় এটি দ্বিতীয় পর্যায় এবং ২০২৩ সালের ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপের অধীনে প্রথম দফায় ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি বিতরণ করা হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করেন। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের বাড়ি ও জমির মালিকানা দেওয়ার উদ্যোগ নেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট আট লাখ ২৯ হাজার ৬০৭টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯টি ঘর, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০২১ সালের ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে দুই ধাপে মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর নির্মাণ করছে। বুধবার চতুর্থ পর্যায়ে হস্তান্তর হচ্ছে ২২ হাজার ১০১টি ঘর। এর মধ্য দিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে সুবিধাভোগীর মোট সংখ্যা দাঁড়াল ২,৩৮,৮৫১।