যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের লভিভে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় অসংখ্য ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু বেসামরিক মানুষ হতাহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সেখান থেকে অনেক মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে এ হামলা চালানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন লভিভের আঞ্চলিক সামরিক প্রশাসনের প্রধান ম্যাকসিম কোজিটস্কি। খবর আলজাজিরার।
ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পূর্ণমাত্রার সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর মঙ্গলবার পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী লভিভে সবচেয়ে বড় হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
লভিভের মেয়র আন্দ্রি সাদোভি বলেন, অসংখ্য ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করা হয়েছে, কিন্তু লভিভে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছেও।
তিনি জানান, চিকিৎসার জন্য চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছে। এছাড়া হামলায় কিন্ডারগার্টেনসহ একশরও বেশি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে লভিভের গভর্নর ম্যাক্সিম কোজিৎস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র লভিভের দিকে এগিয়ে আসছে।’
ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ পোল্যান্ডের সঙ্গে লাগোয়া লভিভ গত জুলাই পর্যন্ত রাশিয়ার হামলার বাইরে ছিল। কিন্তু সে মাসে সেখানে একটি আবাসিক ভবনে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়।
এদিকে গত কয়েক দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক কুচকাওয়াজে নামছে ইউক্রেনের প্রতিবেশী পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর অন্যতম সদস্য পোল্যান্ড। বেলারুশের সঙ্গে সীমান্তে টানটান উত্তেজনা অবস্থায় মঙ্গলবার ৯২টি যুদ্ধবিমান ও দুই হাজার সেনা নিয়ে শত্রুদের বার্তা দেবে দেশটি।