গেল সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে ডিমের বাজারে। তবে অস্বস্তি বিরাজ করছে মাছের বাজারে। কম দামি হিসেবে পরিচিত পাঙাশের কেজি এখন ২২০ থেকে ২৫০ টাকা। ৩০০ টাকার নিচে মিলছে না অন্য কোনো মাছ। ডিমের দাম গেল ককেদিনের ব্যবধানে হালিতে কমেছে ৫ টাকা। প্রতি ডজনে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে নতুন করে পেঁয়াজ, দেশি রসুন ও ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে অস্বাভাবিক বাড়ার পর দাম কমেছে কাঁচামরিচের। অন্যদিকে কিছুটা স্থিতিশীল দেখা গেছে সবজি ও চালের বাজার।
পাঙাশের কেজি ২২০ থেকে ২৫০ টাকা; মাঝারি আকারের তেলাপিয়া ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চাষের কই এবং শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ২৫০ থেকে ২৮০ এবং ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা দরে। মাঝারি আকারের রুই-কাতলার কেজি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৩৪০ থেকে ৪০০ টাকা, আর বড় আকারের রুই-কাতলা ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, মাঝারি আকারের চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাজারগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম। তাতে বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা বেড়েছে।
ক্রেতার বলছেন, যে কোনো পণ্যের দাম লাফিয়ে বাড়লেও কমে ধীরগতিতে। আবার কমলেও আগের পর্যায়ে নেমে আসে না। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের আয় বাড়ছে না। এ জন্য বাড়তি ব্যয় সামাল দিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
এছাড়া দুই মাস ধরে উচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মসলা জাতীয় প্রায় সব পণ্য। এর মধ্যে নতুন করে কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সাত-আট দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি পর্যায়ে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে সেগুনবাগিচা ও হাতিরপুল কাঁচা বাজারে খুচরা পর্যায়ে এ মানের পেঁয়াজের দাম উঠেছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজ ১২ ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ২৮ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে দেশি রসুনের দাম বেড়েছে ৬৪ শতাংশ।