প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ এক অনন্য ঠিকানা।
বুধবার (২৩ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকালে জোহানেসবার্গের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়িক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, আফ্রিকার ব্যবসায়ী সম্প্রদায় ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আইসিটি, অবকাঠামো, ট্যুরিজম, ভারী ও হালকা শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে দুই দেশই উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকার নীতিগতভাবে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত। বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্র আরও প্রসার ঘটুক। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ভালো হোক। এ ক্ষেত্রে আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, আমার একটি স্বপ্ন আছে যা বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের স্বপ্ন। তা হলো, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এবং একটি সম্পূর্ণ উন্নত স্মার্ট জাতিতে পরিণত করা। স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণে একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রচেষ্টাও শুরু করা হয়েছে।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য, ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য আরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণে বাংলাদেশ বাণিজ্যিক পরিস্থিতিকে দৃঢ়তার সঙ্গে শক্তিশালী করে চলছে। আমাদের দৃঢ় প্রচেষ্টা শুধুমাত্র আমাদের জন্য সুবিধাই দেবে না বরং যারা আমাদের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে পছন্দ করে তাদের জন্যও লাভজনক হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা খুঁজে নিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। কারণ, এটি বাংলাদেশের প্রস্তাবগুলোর সঙ্গে নিজেকে পরিচিত করার উপযুক্ত সময়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা চাই আপনারা আমাদের উন্নয়ন যাত্রায় অংশ নিন। বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন। আমরা আস্থাশীল যে, দক্ষিণ আফ্রিকায় উল্লেখযোগ্য বাংলাদেশি নাগরিক একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে আফ্রিকান দেশগুলো থেকে প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামাল সংগ্রহের উপায় খুঁজছে। এই অন্বেষণের মধ্যে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প, খনিজ, পেট্রোলিয়াম পণ্য, তুলা, কৃষিপণ্য ও আরও অনেক কিছুর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল রয়েছে।
এ সময় দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।