দেশে ২০ লাখ তরুণ প্রতি বছর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার উপযোগী হচ্ছে। এর বিপরীতে ১৩ লাখ চাকরির বাজারে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ তরুণ বেকার থেকে যাচ্ছে। তবে সম্প্রতি কোভিডের কারণে এই সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে শিক্ষায় যে অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল তা করোনায় বড় আঘাত খেয়েছে। করোনার ১৫ মাসে করোনার ধাক্কায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু পড়াশোনায় নয়, শারীরিক ও মানসিকভাবেও। অন্যান্য দেশে মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক হলেও আমাদের দেশে এখনো তা প্রাথমিক পর্যন্ত বাধ্যতামূলক।
গতকাল মঙ্গলবার ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন (ক্যাম্পে) আয়োজিত মেয়েদের ক্ষমতায়নে শিক্ষা ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় দেশের শিক্ষাব্যবস্থার এ চিত্র উপস্থাপন করা হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধূরী সভাপতিত্ব করেন। মালালা ফান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেন মোশাররফ তানসেন।
সভায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমদ বলেন, প্রগতিশীল সরকার থাকার পরও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীর চাপে অনেক সময় আমাদের পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। এর পরও শিক্ষায় অনেক অগ্রগতি করেছি আমরা। মেয়েরাও ছেলেদের মতোই স্কুলে আসছে। এটা নিশ্চয় ভালো খবর। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে, সামগ্রিকভাবে শিক্ষায় যে একটা বিভাজন সেখানে মেয়েরা একটু বেশি আক্রান্ত।
মনজুর আহমদ আরো বলেন, মাধ্যমিকে মেয়েরা এলেও তার অর্ধেকই স্কুলজীবন শেষ করে না। এর পরও করোনার দুই বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা এখনো পূরণ হয়নি। এ ব্যাপারে এখনই বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে একটি প্রজন্ম ক্ষতির মুখে পড়বে।
সভায় তথ্য দেয়া হয়, মেয়েদের শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে গণসাক্ষরতা অভিযান দেশের ছয় উপজেলায় ২৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কাজ শুরু করেছে। যার অর্থায়ন করছে মালালা ফান্ড। মালালা ফান্ড স্বপ্ন দেখে বিশ্বের সব শিশু ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়বে।