Free Porn
xbporn

buy twitter followers
uk escorts escort
liverpool escort
buy instagram followers
Galabetslotsitesi
Galabetsondomain
vipparksitesigiris
vipparkcasinositesi
vipparkresmi
vipparkresmisite
vipparkgirhemen
Betjolly
Saturday, July 27, 2024

কথার কথকতা: মাহবুবুর রহমান তুহিন

তখন আমরা নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদ থাকি। একবার ডিগ্রি পরীক্ষার সময় এক পরীক্ষার্থী আমাদের বাসায় থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিলো। প্রথম পরীক্ষা ছিলো বাংলা। প্রশ্নপত্রে ভাবসম্প্রসারণ আসলো- সে কহে বিস্তর মিছে, যে কহে বিস্তর- পড়ামাত্র এর নিগূঢ় অর্থ বুঝতে না পারলেও কয়েকবার পাঠ করে উপলদ্ধি করলাম – সেই ব্যক্তি মিথ্যে কথা বেশি বলে, যে বেশি কথা বলে। এক কথায় প্রকাশ পড়েছি- বেশি কথা বলে যে-বাচাল, যিনি অধিক কথা বলেন না- মিতভাষী। এখানে লক্ষ্যণীয় বাচাল বোঝাতে যে এবং মিতভাষী বোঝাতে যিনি ব্যবহৃত হয়েছে। এর মানে যিনি মিতভাষী তিনি সম্মানিত। এ জন্যই বলা হয় ‘হয় মানুষের মত কথা বল, নয় গবাদি পশুর মত চুপ করে থাকো।

আমরা যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তাম, তখন বাড়ীর কাজ হিসেবে হাতের লেখা লিখে আনতে হতো ক্লাসে। সেই হাতের লেখায় আমরা প্রায়শঃই লিখতাম ‘সদা সত্য কথা বলিবে, কখনও মিথ্যা কথা বলিও না। আবার এ বাক্যগুলোর Translation মুখস্ত করতাম ‘Always speak the truth. Never tell a lie. শৈশবেই যাতে শিশুর মনে নৈতিক ভিত গড়ে ওঠে সে জন্য এ প্রয়াস নেওয়া হত। এ গুলোর মারফত আমরা বুঝেছিলাম- শুধু কথা বললে হবে না, সত্য কথা বলতে হবে।

মনীষীরা বলেন, কথা বলার আগে চিন্তা করে দেখো সেটা বলা ঠিক হবে কি না। অন্যভাবে বলা যায় ‘অনেক কথার অনেক দোষ, ভেবে চিন্তে কথা কোস’। বিশ্বের বহু দেশে এমন অনেক প্রাজ্ঞ, প্রবীণ, অভিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতার উদাহরণ আছে, যাঁরা অনেক সময় বেফাঁস কথা বলতেন। ফলে অনেককে পস্তাতে হয়েছে, এমনকি অনেকের রাজনৈতিক জীবনের ইতি হয়েছে। যার প্রমাণ রয়েছে, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিলের মতো বিশ্ববিখ্যাত রাজনৈতিক নেতার জীবনেও। শেরেবাংলা ফজলুল হকের মতো তুখোড়, অভিজ্ঞ, প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা পর্যন্ত প্রায়ই বেফাঁস কথা বলতেন। সে জন্য তাঁকে একাধিকবার খেসারতও দিতে হয়েছে নিদারুণভাবে। শেষ বয়সে পৌঁছে তিনি নিজের ভুলের কথা স্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, my worst enemy is my tongue ‘আমার জিহ্বাই হচ্ছে আমার সবচেয়ে বড় শত্রু’।

চার্চিলের কথায় আসি। ফ্যাসিস্ট হামলা থেকে পশ্চিমা গণতন্ত্রের ত্রাণকর্তা (saviour)) এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রক্ষাকর্তা হিসেবে স্বীকৃত ও সম্মানিত মি. চার্চিলের রাজনৈতিক জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছিল তাঁর একটি বেফাঁস উক্তি। তখন দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে। মি. চার্চিল বয়োবৃদ্ধ এবং শেষবারের মতো ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত আছেন। হঠাৎ একদিন সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে বলে বসলেন, ‘দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষদিকে আমি চেয়েছিলাম, সোভিয়েত ইউনিয়ন আমাদের মিত্রপক্ষ হলেও সোভিয়েত লালফৌজ যেন বার্লিনে ঢুকতে না পারে। সে জন্য আমি আমাদের সেনাপ্রধানকে গোপনে নির্দেশ দিয়েছিলাম, পরাজিত জার্মান সৈন্যদের হাতে অস্ত্র দাও। তারা যেন সোভিয়েত সৈন্যের বার্লিন দখল করা ঠেকাতে পারে।

চার্চিলের এই বেফাঁস উক্তিটি তখন যুদ্ধোত্তর বিশ্বে দারুণ বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল এবং তাঁর নিজের ও ব্রিটেনের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছিল। ব্রিটিশ রাজনীতিকরা এবং তাঁর নিজের কনজারভেটিভ দলও তাতে প্রমাদ গোনে। প্রথমে তাঁরা চেষ্টা করেন, চার্চিল বুড়ো বয়সের ভীমরতির দরুন এই বেফাঁস কথাটি বলেছেন বলে কথাটি ধামাচাপা দিতে। তাতে সফল না হওয়ায় চার্চিলের ওপর প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে সরে দাঁড়াতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেন। ফলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ইডেনের হাতে প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্বভার দিয়ে চার্চিলকে পদত্যাগ করতে হয় এবং এভাবে বিশ্বের একজন সেরা রাজনীতিকের রাজনৈতিক জীবনের কার্যত অবসান ঘটে।

আবার কথা বলেই মানুষ ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।

Government by the people, for the people, of the people—স্কুলে পৌরনীতি বইয়ে গণতন্ত্রের এই সংজ্ঞাটা পড়েছিলাম, সবার মনে আছে নিশ্চয়ই। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই সংজ্ঞাটা দিয়েছিলেন গেটিসবার্গ ভাষণে। তিন মিনিটের কম সময়ের সেই ভাষণকে বলা হয় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম ভাষণের একটি।

১৮৬৩ সালের ১৯ নভেম্বর ‘গেটিসবার্গ অ্যাড্রেস’ দেন আব্রাহাম লিংকন।

মাত্র তিন মিনিটের সেই ভাষণে শব্দ সংখ্যা ছিল ২৭২টি। আর এই ভাষণই ইতিহাসের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের দুঃসময়ে এই ভাষণ হয়ে ওঠে সবার আলোকবর্তিকা। ১-৩ জুলাই গেটিসবার্গে রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে প্রায় আট হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তাঁদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধে ‍যুদ্ধের প্রায় চার মাস পরে এক স্মরণসভায় এই বক্তৃতা দেন লিংকন।

সেদিনের সেই সভায় মূল বক্তা ছিলেন অ্যাডওয়ার্ড এভার্ড। প্রায় দুই ঘণ্টা বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। এরপরেই আব্রাহাম লিংকন বক্তৃতা শুরু করেন। আলোকচিত্রীরা ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা সেট করার আগেই তাঁর বক্তব্য শেষ হয়ে যায়। এই বক্তৃতা শেষে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে উপস্থিত জনগণ। এমনকি তাঁরা হাততালি দিতেও ভুলে গিয়েছিল।

মূল বক্তা অ্যাডওয়ার্ড এভার্ট পরে দুঃখ করে বলেন, ‘আমি যদি আমার দুই ঘণ্টার বক্তৃতায় আব্রাহাম লিংকনের তিন মিনিটের বক্তৃতার কাছাকাছি কিছু বলতে পারতাম, তাহলে আমার জীবন ধন্য হয়ে যেত।’

 ১৯৭১’র ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়াদী উদ্যান) সমবেত জনসমুদ্রে জাতির উদ্দেশে ঐতিহাসিক ভাষণ দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর এই ভাষণ জাতিকে অনুপ্রাণিত করে স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে। ২০১৭ সালে ইউনোস্কো এই অবিস্মরণীয় ভাষণকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণটি শুধু ভাষণই নয়, বরং এটি একটি মহাকাব্য। আর এ জন্যই ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল নিউজউইক পত্রিকার প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে বঙ্গবন্ধুকে ‘পোয়েট অব পলিটিক্স’ (রাজনীতির কবি) হিসেবে অভিহিত করেছিল।

মানুষ সামাজিক জীব মনের ভাব প্রকাশের জন্য তাকে কথা বলতে হয়। কথার মধ্যদিয়েই নিশ্চিত হয় মানুষের অগ্রগতি রচিত হয় সভ্যতার সোপান। মানুষ কথা বলে ভাষায়।

তাহলে কেমন করে এল ভাষা?

ছোট বেলায় আমরা ব্যকরণ বইয়ে ভাষার সংজ্ঞায় পড়েছি, ‘মনের ভাব-প্রকাশের জন্য, বাগ-যন্ত্রের সাহায্যে উচ্চারিত ধ্বনি দ্বারা নিষ্পন্ন, কোনো বিশেষ জনসমাজে ব্যবহূত শব্দসমষ্টিকে ভাষা বলে’।

“পৃথিবীতে মানুষই হলো একমাত্র প্রাণী যাদের ভাষা আছে, এই ভাষার কারণে আমরা অন্যসব প্রাণী থেকে আলাদা হয়েছি,” বলেছেন নিউক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়র অধ্যাপক ম্যাগি টলারম্যান।

ভাষার মাধ্যমে এই যে ভাবের বিনিময়, কথার আদান প্রদান, সেটাকে দেখা হয় বিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হিসেবে। সবকিছুকে বদলে দিয়েছে এই ভাষা। আর এ কারণেই মানুষ ভাষার উৎস সম্পর্কে জানতে দারুণ উৎসাহী।

“জটিল যতো বিষয় আছে তার একটি এই ভাষা এবং এটিই আমাদের মানুষ বানিয়েছে, বলেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মানব বিবর্তন বিভাগের শিক্ষক ও নৃবিজ্ঞানী রবার্ট ফোলি।

ভাষার বয়স কতো

বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষ সাড়ে ছ’হাজারের মতো ভাষায় কথা বলে। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন ভাষা কোনটি?

সবচেয়ে পুরনো ভাষার নাম জানতে চাইলে আমরা অনেকেই ভাবি ব্যাবিলনীয়, সংস্কৃত কিম্বা মিশরীয় ভাষার কথা।

কিন্তু অধ্যাপক টলারম্যান বলছেন, এসব ভাষা তার ধারে-কাছেও নেই। সাধারণত আমরা বলি যে ভাষা ছ’হাজার বছর পুরনো। কিন্তু ভাষার প্রকৃত উৎস যদি খুঁজে দেখতে হয় তাহলে অন্তত ৫০ হাজার বছর পেছনে ফিরে যেতে হবে। বহু ভাষাবিজ্ঞানী মনে করেন, ভাষার ইতিহাস আসলে এর চেয়েও পুরনো। “আমাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন যে ভাষার উৎপত্তি পাঁচ লাখ বছর আগেও হতে পারে,” বলেন অধ্যাপক টলারম্যান।

সুন্দর করে কথা বলা একটা আর্ট। এই আর্ট আয়ত্বে থাকলে সহজে মানুষকে আপন করা যায়। জীবন চলার পথে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হই আমরা তার বেশিরভাগই আমাদের কথা বলার উপরেই। আমরা যদি বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা বলতে পারি এবং কথা যদি একই মনোযোগের সাথে শোনা হয়, তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র কথার মাধ্যমেই হয়ে যাবে। আমাদের কথা বলার ভুলের কারণেই অনেক সময় আমাদের নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের দূরত্বের সৃষ্টি হয়। তাই আমাদের বুদ্ধিমত্তার সাথে কথা বলা উচিত। এতে আমাদের জীবন আরও অনেক সহজ, সুন্দর ও সফল হবে। কথা শুধু বললে হবে না। অনেক সময় নিরবতাও অনেক কথা জানিয়ে দেয়। রবীন্দ্রনাথের ভাষায়- ‘অনেক কথা যাইযে বলে, কোন কথা না বলে।‘।

কথা নিয়ে রচিত হয়েছে কবিতা। প্রেমেন্দ্র মিত্রের ‘কথা’য় শুনি-

তারপরও কথা থাকে;

বৃষ্টি হয়ে গেলে পর

ভিজে ঠাণ্ডা বাতাসের মাটি-মাখা গন্ধের মতন

আবছায়া মেঘ মেঘ কথা;

কে জানে তা কথা কিংবা

কেঁপে ওঠা রঙিন স্তব্ধতা।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ‘কথা ছিলো’ কবিতায় বলেন-

সামনে দিগন্ত কিংবা অনন্ত থাকার কথা ছিল

অথচ কিছুটা গিয়ে

দেখি কানা গলি

ঘরের ভিতরে কিচু গোপন এবং প্রিয়

স্মৃতিচিহ্ন থেকে যাওয়া

উচিত ছিল না?

নেই, এই দুৎখ আমি কার কাছে বলি!

সমস্ত নারীর মধ্যে একজনই নারীকে খুঁজেছি

এ-রকমই কথা ছিল

স্নিগ্ধ ঊষাকালে।

দৈনন্দিন প্রয়োজনে, জীবনের আয়োজনে, কাজে, অবসরে, চা-খানায় আর মাঠে-ময়দানে আমাদের কথা বলতেই হয়। আমরা কী কল্পনা করতে পারি, এমন একটি বিশ্ব! যেখানে কোন কথা নেই, যেখানে শ্মশানের নীরবতা! তাহলে মানুষের মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ, সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি কীভাবে সৃষ্টি হবে? তাই বলতে হয়=কথাহীন বিশ্ব, নিঃশ্ব।

আমরা জন্মেছি বাংলায়, বাংলায় কথা বলি, বাংলায় তুমুল আড্ডায় মেতে উঠি।আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বাংলা প্রতিমূর্ত হয়ে ওঠে নান্দনিকভাবে। অথচ এই ভাষাকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চেয়েছিলো ওরা। মায়ের ভাষাকে ভালোবেসে ৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, বরকত, রফিক জব্বাররা জীবন উৎসর্গ করে প্রমাণ করেছে প্রকৃত ভালোবাসা জীবনের চেয়ে মহৎ।  ভাষার জন্য আমাদের আত্মত্যাগের গৌরবের  সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর পথে পথে। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তাই গর্বে উচ্চারণ করি-

একুশ দিয়েই সারা বিশ্বকে পেলাম

একুশ তোমায় হাজার হাজার সেলাম।

-মাহবুবুর রহমান তুহিন, সিনিয়র তথ্য অফিসার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর