একেএম আব্দুল্লাহ
আর আমরা এক আজব সমাজে বাস করি। আর আমাদের সমাজে ফুল ফুটে ফুটপাতে, বারান্দায়, ছাদে, ড্রয়িং রম্নমে। মাঝে মাঝে ফুলগুলো কথা বলে। আমরা কথা বলা ফুলের পাশে ভিড় ধরি। এরপর ফুলগুলো লাশ হয়। কখনো লাশগুলো কথা বলে। এসব দৃশ্য কেউ কেউ ভিডিও করে। আর ফুটেজগুলো আপলোড করে দ্যায় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির বিজনেস পেজে।
এই ফুটেজ মাছরাঙার ঠোঁটে নেমে এলে চোখের জলে আমাদের ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট অটোমেটিকেলি অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। আর আমরা নিউজফিডের মধ্যখানে লাইভ স্টেইজ বানিয়ে বিচারক হই। আমরা আবেগবান হই। আমাদের চোখে গভীর নদি হয়। আর দুদিনের ভেতর রায় ঘোষণা করে ঘন ঘন শ্বাস নিই। এরপর চাইনিজ মোরগের পুড়া রান চিবুতে চিবুতে সামাজিক হই। সমাজপতি হই।
আমাদের কথা বলা ফুল আমাদের কথা বলা লাশ চেয়ে থাকে চাঙারির ওপর রাখা মরা মাছের মতো। আর হাই লেবেলে দরদাম ফিক্সড হয়ে গ্যালে লাশের কানকায় গেঁথে দিই ট্র্যাডিশনাল ট্যাগ। এই দৃশ্য দেখে আমাদের নিরীহ পেট আইসব্যাগের তলে নড়ে ওঠে
অতঃপর, ইমোশনাল অ্যাফেয়ার শেষ হয়ে যায়। সমাজের প্যারালাইজড চোখ সচল হয়ে ওঠে। আর আমরা ল্যাইটেস্ট শো’রম্নমে একশো পাওয়ার খঊউ বাল্বের নিচে নতুন কোনো ব্র্যান্ডের পাশে ডিসপ্লে হতে থাকি
এভাবে ফুল আর জীবন দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘজমিন ফোঁড়ে পাশাপাশি চলে ট্রেনলাইনের মতো।
০৭ অক্টোবর ২০১৯