ঈদুল ফিতরের আনন্দে ভিন্নমাত্রা আনতে অনেকেই বাইরে ঘুরে আসার পিরকল্পনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। পরিবারের সদস্য কিংবা বন্ধুদের একসাথ হওয়া এখন কদাচিৎ ঘটে। ঈদ এরকম একটি উপলক্ষ। তাই বন্ধু-পরিজনসহ অনেকেই ছুটে যাচ্ছেন পর্যটন স্পটগুলোতে। এ ক্ষেত্রে অনেকেই নিসর্গের নান্দনিক সৌন্দর্যমন্ডিত বান্দরবানকে বেছে নিয়েছেন। আর পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত পর্যটন জেলা বান্দরবান।
পর্যটন সাদর সম্ভাষণ জানাতে পর্যটন জেলাবাসী প্রস্তুতি নিয়েছেন সাড়ম্বরে।
জানা গেছে, পাহাড়ে আনন্দময় সময় কাটানোর জন্য এরই মধ্যে হোটেল, মোটেলে বুকিং দিয়েছেন অনেকেই।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। কক্সবাজারসহ তিন পার্বত্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে পর্যটন কেন্দ্র বেশি বান্দরবানে। ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস বান্দরবানে। বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে, তাজিংডং, বগা লেক, কেউক্রাডং, নীলগিরি, নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, রিজুক ঝর্ণা, তমাতুঙ্গী, জীবননগর, স্বর্ণজাদী, রামজাদী, নাফাকুম, দেবতাকুম, মিলনছড়ি, হাইল্যান্ড পার্ক রিসোর্ট, নীল দিগন্ত. গোল্ডেন বৌদ্ধ বিহার অন্যতম।
বান্দরবানের সব পর্যটন কেন্দ্রে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজের সমাহার। আর পাহাড়ের প্রাচুর্য। সারি সারি পাহাড়ের সঙ্গে রোদ বৃষ্টি আর মেঘের অপূর্ব মিতালি। শীতকালে মনে হয় যেন সাদা মেঘের রাজ্য। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের মনমাতানো দৃশ্য ভোলার নয়। নীল আকাশ, মেঘ ও সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য দেখার সুযোগ থাকায় পর্যটন মৌসুমে দেশি বিদেশি পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে।
জেলা প্রশাসক ইয়াসমিন পারভীন তিবরিজী জানান, টানা ছুটিতে বান্দরবানের সব রিসোর্ট, পর্যটন হোটেল-মোটেল, আবাসিকগুলো অনেক আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেঘলায় কায়াকিং বোট যুক্ত হয়েছে। প্রান্তিক লেকে কায়াকিং বোটের পাশাপাশি বেশ কিছু সোলার বোটও দেওয়া হয়েছে। মেঘলায় দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য এবং প্রথম বারের মতো নারীদের জন্য মাতৃছায়া নামে ব্রেস্ট ফিডিং জোন করা হয়েছে। সেখানে বিশ্রাম নেওয়া একজন মা পরম যত্নে তার শিশুকে জড়িয়ে রাখার একটি ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ মাতৃস্নেহের আবহ তুলে ধরা হয়েছে। বান্দরবানের বাসিন্দা বা দেশি বিদেশি পর্যটক কাউকে যাতে হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে জন্য জেলার পর্যটন স্পটগুলোতে আগের তুলনায় সেবা অনেকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।