ঈদে নাড়ির টানে ঘরে ফেরার শেষ দিন শুক্রবার ভোর থেকেই রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। ছাদেও ঝুঁকি নিয়ে যাত্রা করছে ঘরমুখো মানুষ।
১৭ এপ্রিল শুরু হয় ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা। এরপর প্রথম তিনদিন যাত্রীর তেমন চাপ ছিল না। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয় চাপ। শুক্রবার তা আরও বেড়েছে। এদিন সকালে ধূমকেতু ও নীলসাগর এক্সপ্রেসের ছাদে উঠে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সুন্দরবন এক্সপ্রেসের সিডিউল টাইম ছিল সকাল সোয়া আটটায়। সেহরি খেয়ে ঘুমালে আর রওনা করা যাবে না। তাই সেহরি খেয়ে ভোরেই স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অনেক যাত্রী।
এদিকে টিকিট দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হচ্ছে যাত্রীদের। যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা যাত্রার দুঘণ্টা আগে স্ট্যান্ডি টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। যদিও টিকিট নির্দিষ্ট সংখ্যক হওয়ার কারণে সবাই পাচ্ছেণ না। এর ফলে তাদের ট্রেনযোগে নিরাপদ ঈদযাত্রা সম্ভব হচ্ছে না।
সরজমিনে দেখা গেছে, স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য সকাল থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যাত্রীরা। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টিকিট পেতে চলছে শেষ মুহূর্তের লড়াই৷ ভিড় বেশি হওয়ায় স্ট্যান্ডিং টিকিটে অতিরিক্ত দশ টাকা করে নেওয়ার অভিযোগও কেউ কেউ।
এদিকে স্টেশনে যাত্রীদের নিরাপত্তায় র্যাব-পুলিশ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।