জাতীয় ঈদগাহে জামাতে কোনো হামলা হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তবে ঢাকার বৃহত্তম ঈদ জামাত বিবেচনায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঈদে সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট নেই। তারপরও এটা যেহেতু ঢাকার সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত, এ জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আয়োজন রয়েছে। শোলাকিয়ার ঈদগাহ মাঠে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল, অতীতের সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় ঈদগাহে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। সেই সঙ্গে জাতীয় ঈদগাহে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এ জন্য সবাই যাতে একটু সময় নিয়ে মাঠে আসেন। আর মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোনোকিছু সঙ্গে আনবেন না। কোনো দাহ্য পদার্থ আনা যাবে না।
এছাড়াও ভিআইপিদের জন্য স্পেশাল নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি ফায়ার ব্রিগেড ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার।
খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, সিটিটিসির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো মাঠ সুইপিং করা হয়েছে, যা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। সেই সঙ্গে পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় থাকবে, যাতে ঈদগাহ মাঠে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে। এছাড়া ঈদের দিন সিটিটিসির সোয়াত টিম আশপাশে থাকবে, যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করতে পারে।’
এসময় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান, রমনার ডিসি মো. শহীদুল্লাহ ছাড়াও ডিএমপি মিডিয়া ডিসি মো. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।