নিজস্ব প্রতিবেদক
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের ভোটে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে পাঠানো শোকজের চিঠিতে তাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হলে বা কেউ জবাব না দিলে আগামী সপ্তাহে তাদের বহিষ্কার করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ২৪, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়েছে, ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপির নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং বিশ্বাসঘাতকতা।
সূত্র জানায়, ৩৪টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিএনপির পদধারী নেতারা মাঠে আছেন। এর মধ্যে আট উপজেলায় ১৯ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন ৪২ জন, আগেই ১৫ নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌর নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আরও পাঁচজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেটকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নম্বর চিকনদণ্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম এবং কক্সবাজারের ঈদগাঁহ উপজেলা বিএনপির সদস্য হান্নান মিয়াকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।