বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের হাফ ডজনেরও বেশি প্রেমের কথা সবারই জানা। তবু ৫৭ বছর বয়সে তিনি যে এখনো অবিবাহিত, এ কথাও কারও অজানা নয়। তবে ভাইজানের বিয়েটা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল আরও ২৪ বছর আগে। দাওয়াতের কার্ডও ছাপা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই বিয়ে ভেঙে দেন বলিউড টাইগার।
একটি সাক্ষাৎকারে সালমান খানের সেই ভাঙ্গা বিয়ের রহস্য উন্মোচন করেছিলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রযোজক সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা। সাজিদ জানিয়েছিলেন, ঠিকঠাক হয়েও ভেঙে যায় সেই বিয়ে।
এই প্রযোজক জানান, ‘১৯৯৯ সালে সালমান হঠাৎ ঠিক করেন যে বিয়ে করবেন। ওর বিয়ের কনে ঠিক করাই ছিল। আমার তখনও কাউকে খুঁজে বের করা হয়নি। সালমানের বাবার জন্মদিন হলো ১৮ নভেম্বর। আমরা ঠিক করেছিলাম ওই দিনই সালমানের বিয়েটা দেওয়া হোক। সব কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল। এমনকি কার্ডও পাঠানো হয়ে গিয়েছিল অতিথিদের।’
সাজিদ বলেন, ‘বিয়ের ঠিক পাঁচ-ছয় দিন আগে সালমান বলল, আমার মুড নেই। এরপর আমার যেদিন বিয়ে, সেদিন সালমান স্টেজে উঠে আমার কানে কানে বলল, বাইরে আমার গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ওটা নিয়ে পালিয়ে যাও।’
কিন্তু কেন সেদিন নিজের বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন পরবর্তীতে সেই রহস্য উন্মোচন করেছিলেন সালমান খান নিজেই। একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, বিয়ে করতে যাওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগে তিনি জানতে পারেন যে সেই মেয়ে ‘বিশ্বস্ত’ নয়। সে কারণেই তিনি বিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন।
যদিও সালমান বা তার বন্ধু সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা- কেউই সেই পাত্রীর নাম জানাননি কখনো। সেই অধ্যায় আজও অজানাই রয়ে গেছে। তবে পাত্রী কে ছিলেন সে উত্তর না পাওয়া গেলেও জানা যায়, পাত্রী ছিলেন সালমানেরই সেই সময়ের এক বান্ধবী।
যদিও বলিউডে আজও কান পাতলে শোনা যায়, পাত্রী আর কেউ নন, সালমান খানের তৎকালীন প্রেমিকা সঙ্গীতা বিজলানি। কারণ, এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা নিজেই জানিয়েছিলেন যে, একবার অভিনেত্রী সঙ্গীতা বিজলানিকে বিয়ে করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি।
সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে ১৯৮৬ সাল থেকে সালমান খানের প্রেম ছিল। নিজের থেকে ৬ বছরের বড় সঙ্গীতাকে সে সময় বিয়ে না করলেও পরবর্তীতে এই নায়িকা বিয়ে করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আজহার উদ্দিনকে। যদিও টেকেনি সেই সংসার। ২০১০ সালে ডিভোর্স হয় সঙ্গীতা ও আজহার উদ্দিনের।