ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি গ্রামে স্থাপিত একটি ভাস্কর্য ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা বলছেন, ভাস্কর্যটি স্বেচ্ছাচারী ও যৌনাবেদনময়। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
দক্ষিণ ইতালির পুগলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামটি মাছ ধরার জেলেদের গ্রাম হিসেবে পরিচিত। এই গ্রামের রিটা লেভি-মন্টালসিনি চত্বরে মৎস্যকন্যার আদলে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্যটি।
ভাস্কর্যটি তৈরি করেছেন ইতালির মনোপলি শহরের লুইগি রোসো আর্ট স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এটি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। তবে উদ্বোধনের আগেই ভাস্কর্যটির ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এবং ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
ইতালির জনপ্রিয় অভিনেত্রী টিজিয়ানা শিয়াভারেলি ফেসবুকে লিখেছেন, সিলিকনের তৈরি দুটি বিশাল স্তনবিশিষ্ট ভাস্কর্যটি দেখতে অনেকটা মৎস্যকন্যার মতো। এ ধরনের মৎস্যকন্যা আগে কেউ দেখেছে কি না, আমি জানি না। আমি জিনিসটি দেখে মজা পেয়েছি। কে জানে, পর্যটকদের জন্যও এটি হয়তো আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
লুইগি রোসো আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক অ্যাডলফো মার্সিয়ানো বলেছেন, নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটি তৈরি করেছে। মনোপলির মেয়র শিক্ষার্থীদের ভাস্কর্য তৈরির দায়িত্বটি দিয়েছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের সমুদ্রের থিমভিত্তিক ভাস্কর্য নির্মাণের কথাও বলেছিলেন।
অ্যাডলফো মার্সিয়ানো আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা ভাস্কর্যটির মডেল মেয়রের পরিষদকে আগেই দেখিয়েছিল। মেয়রের পরিষদ তখন এটিকে ভালো বলে মন্তব্য করেছিলেন। তারপর সম্পূর্ণ ভাস্কর্যটি রিটা লেভি-মন্টালসিনি চত্বরে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মনোপলির স্থানীয় বাসিন্দা বেপ্পে বলেন, উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত ভাস্কর্যটি ঢেকে রাখা হয়েছে। তার পরও কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতেই উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি অশ্লীল ও যৌন উত্তেজক।
বেপ্পে আরও বলেন, অযথাই শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করা হচ্ছে। আমি মনে করি, তারা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।
ইতালির অন্যান্য এলাকায়ও নারীদের ভাস্কর্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। ২০০১ সালে ক্যাম্পানিয়া শহরে একটি নারীর ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়, যেটি ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি এবং স্বচ্ছ পোশাকে আবৃত। সেটির বিরুদ্ধেও যৌনতার অভিযোগ ওঠে। ভাস্কর্যটি তৈরি করেছিলেন ভাস্কর ইমানুয়েল স্টিফানো। এটি উদ্বোধন করেছিলেন ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কন্টে।