স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে রাতে তাকে ভর্তি করা হয়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকাদারের তত্ত্বাবধানে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী চিকিৎসাধীন।
খালেদা জিয়ার প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, চিকিৎসকদের পরামর্শে বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা জিয়া। সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন তার গৃহকর্মী ফাতেমা এবং কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার খবর পেয়ে তার বাসভবন ফিরোজায় যান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মঞ্জু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ প্রমুখ।
হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বের হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। সবশেষ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে যান।
২০২১ সালের এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। নানা শারীরিক জটিলতায় ওই বছরের ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস তিনি সিসিইউতে ছিলেন। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন। এর মধ্যে করোনার টিকা নেওয়ার জন্য খালেদা জিয়া দুই দফায় মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালে যান। ১৯ জুলাই করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার পর ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন তিনি।
দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার শর্তসাপেক্ষে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। কয়েক দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ফলে তিনি তার গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন।