দেশে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (২ মে) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এই নির্দেশনা জারি করে।
শিক্ষার্থীদের করণীয় :
১) নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা।
২) সঠিক সময়ে পড়াশোনা করা, খাওয়া, ঘুমানো এবং মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলায় অংশ নেওয়া।
৩) এনসিটিবি প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও সম্পূরক পঠন সামগ্রী পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৪) নতুনকে গ্রহণ করার উপযুক্ত মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা।
৫) সরকারের শিখন সামগ্রী যথাসময়ে সংগ্রহ করা।
৬) শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে অ্যাক্টিভিটি বেইজ লার্নিং কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা।
৭) বিদ্যালয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করা।
৮) অবসর সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।
৯) শিখন সংশ্লিষ্ট যে কোনো বিষয় নিয়ে অভিভাবকের (মা/বাবা) সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করা।
১০) নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শিখনের সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করা।
১১) দলগত কাজে সহপাঠীদের মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা ও নৈতিকতা বজায় রাখা।
১২) স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য গঠিত ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্তত দুটি ক্লাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।
অভিভাবকদের করণীয় :
১) সন্তানদের নিজের এবং বাড়ির ছোট ছোট কাজগুলো করানোর বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করা।
২) সন্তানদের সময় দেওয়া, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা।
৩) সন্তানদের ভালো কাজে উৎসাহ দেওয়া এবং ভুল/অপ্রয়োজনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করা।
৪) কারিকুলাম বিস্তরণে অভিভাবকদের যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করা।
৫) সন্তানদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা।
৬) সন্তানদের প্রাইভেট/কোচিংয়ে নিরুৎসাহিত করা।
৭) সন্তানদের মূল্যায়নের বিষয়ে নিরপেক্ষতা, সততা ও নৈতিকতা বজায় রাখা।
৮) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা।