Sunday, November 3, 2024

নিখোঁজ অস্ট্রেলীয় জেলে কুমিরের পেট থেকে উদ্ধার

বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে গত শনিবার নিখোঁজ হন অস্ট্রেলীয় জেলে কেভিন ডারমোডি। দুই দিন ধরে তাঁর খোঁজে অভিযান চালানোর পর গত সোমবার একটি কুমিরের পেট থেকে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি কেভিন ডারমোডিরই দেহাবশেষ।

কেপ ইয়র্কের বাসিন্দা ডারমোডি অভিজ্ঞ জেলে। সবশেষ শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ডে কেনেডি নদীতে কেনেডি বেন্ট এলাকায় ডারমোডিকে দেখা গিয়েছিল। কেনেডি বেন্ট এলাকাটি লোনাপানির কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত।

ডারমোডির সন্ধানে ওই এলাকায় দুই দিন ধরে অভিযান চালানোর পর সোমবার পুলিশ দুটি কুমিরকে হত্যা করে এবং মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করে।

ওই দেহাবশেষ ডারমোডিরই কি না, তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা হয়নি। তবে পুলিশ বলেছে, ৬৫ বছর বয়সী এ জেলেকে খোঁজে চালানো অভিযানের মর্মান্তিক সমাপ্তি ঘটেছে।

সোমবার দুটি কুমিরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এগুলোর একটির দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ১ মিটার (১৩.৪ ফুট) এবং আরেকটির ২ দশমিক ৮ মিটার। ডারমোডি যে এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেখান থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কুমিরগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।

দুটি কুমিরের মধ্যে একটি কুমিরের পেটের ভেতরে মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। তবে বন্য প্রাণীবিষয়ক কর্মকর্তাদের ধারণা, দুটি কুমির মিলে ডারমোডিকে খেয়েছে।

তবে ডারমোডির ওপর কখন কুমিরের হামলা হয়েছে, তা তাঁর সঙ্গে থাকা জেলেরা দেখেননি। তাঁরা তাঁর চিৎকার শুনেছেন। এর আগে পানির মধ্যে প্রচণ্ড রকমের ঝাঁকুনির শব্দ পাওয়া গেছে।

কেপ ইয়র্ক উইকলিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডারমোডির বন্ধু জন পিটি বলেন, ‘আমি হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়িয়েছি…তবে তাঁর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তীরে শুধু তাঁর স্যান্ডেল পাওয়া গেছে, আর কিছু ছিল না।’

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় কুমির দেখতে পাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। তবে কুমিরের হামলার ঘটনা বিরল। ডারমোডির ঘটনাটিসহ ১৯৮৫ সালের পর এ নিয়ে ১৩ বার মানুষের ওপর কুমিরের হামলা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর