ব্রণ এমনই একটি সমস্যা, যা শুধু যন্ত্রণাদায়কই নয়, সঙ্গে অস্বস্তিকরও। আর সামনে বিয়েবাড়ি থাকলে তো কথাই নেই! বিয়েবাড়িতে সেজেগুজে যাওয়ার আগে মুখের মেক আপে ব্রণ ঢাকতেই চলে যায় অনেকটা সময়। মুখ থেকে ব্রণ সরাতে বহু প্রসধানীতেও যখন কাজ হয়না, তখন ঘরোয়া টোটকা দারুন কাজ দিতে পারে। তেমনই একটি ঘরোয়া উপায় হল হলুদ। দেখে নেওয়া যাক, রূপ চর্চায় হলুদ কতরকমভাবে কার্যকরী ফল দিতে পারে।
মুখে ব্রণ থেকে দাগ দূর করতে কার্যকরি: মুখে ব্রণ বা যেকোনও দাগ ছোপ দূর করার ক্ষেত্রে হলুদের কার্যকারিতা ব্যাপক। গবেষণা বলছে, হলুদে থাকা নানা উপাদান মুখের দাগ ছোপের সঙ্গে লড়তে পারে। এছাড়াও ব্রণ থেকে মুক্তি দিতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ব্রণর সমস্যা কাটাতে মুখে পাতি লেবুর রসের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে মাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। পরে তা ধুয়ে নিন।
গ্রীষ্মের রোদ ও সংক্রামক রোগ: ত্বক থেকে সংক্রামক রোগকে দূরে রাখতে হলে, হলুদের প্যাক দারুন কার্যকরি। এছাড়াও গ্রীষ্মের রোদের রশ্মি যাতে ত্বকে খারাপ প্রভাব না ফেলে, তার জন্যও কার্যকরি হলুদ। এছাড়াও ত্বকের প্রদাহের সমস্যা কাটায় হলুদ। সংক্রামক ব্যধি ঠেকাতে নারকেল তেল ও হলুদ মেশাতে পারেন, আবার হলুদের সঙ্গে নিমপাতা বাটা মিশিয়ে তা ত্বকে লাগিয়ে রেখে পরে স্নান করে নিতে পারেন।
বলি রেখা সরিয়ে ও উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে: ত্বকে যাতে অল্প বয়সেই বলিরেখা না পড়ে, তার জন্য হলুদ রূপচর্চায় রাখতে পারেন। এছাড়াও হারানো জেল্লা ফেরত পেতে হলুদের কার্যকরিতা রয়েছে। হলুদের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তা মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন উজ্জ্বলতা বাড়াতে।
হলুদের কয়েকটি প্যাকের হদিশ: হলুদের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে তা মুখ ও গলায় লাগাতে পারেন, শুকিয়ে আসলে তা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এছাড়াও, ত্বকে যদি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দেখেন, তাহলে হলুদ ও নারকেল তেল মিশিয়ে তা লাগিয়ে রাখতে পারেন। হলুদ ও অলিভ অয়েলের তেল ত্বক সতেজ রাখে। এছাড়াও হলুদ, লেবুর রস ও মধু মুখে লাগিয়ে, পরে ধুয়ে নিলে ত্বকের নির্জীবভাব দূর হয়।