এ কে এম আব্দুল্লাহ
আমার ভেতর ঘুমিয়ে আছে যে যুবক। একদিন খিল আঁটা পাঁজর ভেঙে সে জেগে উঠবে। এঁকে যাবে দুর্দান্ত প্রতিবাদের প্রচ্ছদ। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে পৃথিবীর লেজে আগুন লাগিয়ে দিই। পৃথিবী উপরে উঠতে থাকে। আরো উপরে। এরপর বাতাসের সাথে অ্যাফেয়ার শেষে আমার মৃত্যু হয়। আমি ছাইয়ের মতো চারদিকে উড়তে থাকি। কেবল উড়তে থাকি। আমাকে ঘিরে ধরে আমার আপনজন হাতে নিয়ে অছিয়তনামা। এই দৃশ্যে নিজস্ব চোখ ফাঁকি দিয়ে আমি খুঁজতে থাকি আমার হারিয়ে যাওয়া বৃদ্ধাঙুল।
এরপর আমার ভাঙাচুরা সংসার, পাইন কাঠের শোকেসে রেখে নেমে পড়ি এক অদ্ভুত ব্যাকুল গর্তের ভেতর। আমার বুক থেকে খুলে খুলে পড়ে যায় গোপন সব হাড়। আমার পিট চুয়ে চুয়ে নেমে যায় পিতামাতার সুখ। এসব দৃশ্য গর্তের পাড়ে বসে, কেউ কেউ ফটোকপি করে ঝুলিয়ে রাখে তাদের সদ্য তৈরি অ্যপার্টমেন্টের প্যাসেজে।
এখন ফটোকপিগুলো অ্যপার্টমেন্টের প্যাসেজে এসে আমার মৃত সন্তান নিলাম হাকে এক্সিবিউশন ভঙ্গিতে।