Sunday, November 3, 2024

ফুল আর ভ্রমর হাত ধরে হাঁটবে

সাজ্জাদুল বারী

তুমি যে কাননে একদিন ফুল হয়ে ফুটতে চেয়েছিলে
সেখানে এখন সহস্র চিরহরিতের হরদম আড্ডা;
যারা দীর্ঘশ্বাসের পরিবর্তে প্রতিনিয়ত ঢালছে অক্সিজেন।
মাটি থেকে শিকড় পানি আর খনিজ খুঁজে এনে
গোপনে সূর্যালোকের সাথে করছে ঘনিষ্ঠ মিতালি।
তারপর পত্ররন্ধ্র দিয়ে বের করে দিচ্ছে ছলনা, হিংসা ।

ইদানীং অরণ্য আমাকে বড্ড বেশি ভালোবাসে।
বৃদ্ধা মাতা তার একমাত্র পুত্রকে যেমন, ঠিক তেমনি ।
কেননা আমি চাই অরণ্য আর অরণ্য চায় নিস্তব্ধতা;
দুইয়ের চাওয়ার মধ্যে সামান্য ফারাক থাকলেও
আমরা একে অন্যের খুব কাছাকাছি অবস্থান করি।

ভাবছি মস্ত বড় একটা ভালোবাসার বাগান করবো।
যেখানে ফুল আর ভ্রমর হাত ধরে হাঁটবে প্রতিনিয়ত।
সামাজিক কানাঘুঁষার কোন বালাই থাকবে না সেথা
চারণ কবির নিত্য নতুন কবিতা হবে সে বাগানের ফল।

অনেক দিনের পুরানো যে ইচ্ছেটা পুষে রেখেছি মনে
ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা হয়ে গেলেই সে কাজটি ধরবো।
জানোই তো একটা কারখানা নির্মাণ করার শখ বহুদিনের,
কোনো লোহা লক্করের নয়; বোমা তৈরির কারখানা।
দেশীয় কাঁচামালে যৎসামান্য খরচে তৈরি হবে বোমা।
বারম্নদ হিসেবে ব্যবহার হবে নির্ভেজাল বাংলা ভালোবাসা।
যে কারখানার শ্রমিক হবে পৃথিবীর সব নিঃস্বার্থ প্রেমিক
অষ্টপ্রহর কঠোর পরিশ্রমে তারা বোমায় বারম্নদ ভরবে।
মাত্র কয়েক বছরের প্রডাকশনে দেশ বিদেশের সকল
গোডাউন পরিপূর্ণ করবে ঐ নিঃস্বার্থ প্রেমিকের দল।

এরপর সোনার বাংলা থেকে একাই যুদ্ধ ঘোষণা করবো,
বিনানোটিসে পৃথিবীবাসীর মনে নিক্ষেপ করবো সে বোমা।
জাতিসংঘ, আমেরিকা, ফ্রান্স, রাশিয়া, চিন এমনকি
নিরাপত্তা পরিষদের হুমকি, ন্যাটোর ছিনালিপনাকে
থোরাই কেয়ার করে চালাবো ভয়াবহ সে যুদ্ধ ।
রক্তের পরিবর্তে রাস্তায়, ময়দানে, ফুটপাতে, শিক্ষাঙ্গনে
যত্রতত্র পড়ে থাকবে লাল গোলাপ, ফুলের তোড়া।
বন্দুকের বেয়নেট দিয়ে বেরুবে রজনী গন্ধার সুবাস।

গোটা পৃথিবী দখলে এনেও এ যুদ্ধ চালাবো আজীবন।
একদিকে যুদ্ধ অন্যদিকে পৃথিবীর অবকাঠামো নির্মাণে
বাংলা থেকে রপ্তানি করবো ভালোবাসার বীজ,
মাটি আর মানবতার সবুজ চারা।

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর