বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার অন্তত দুই লাখ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে। এর মধ্যে অধিকাংশই সেন্টমার্টিন, টেকনাফের সাবরাং, বাহারছড়া, কক্সবাজার শহরের ১নং ওয়ার্ড, কুতুবদিয়া, মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি বাসিন্দা।
আশ্রয় কেন্দ্র যেসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সঙ্গে গবাদি পশু আছে বলে জানানো হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানিয়েছেন, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মোখা মোকাবিলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। যারা সঙ্গে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামালও নিয়ে এসেছে। শনিবার রাত ১১টা পর্যন্ত এর সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি। একই সঙ্গে এখনও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আসা অব্যাহত রেখেছে। জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধশত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবন আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতিমধ্যে প্রায় সকল মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে চার হাজার ৩০৩ জন মানুষ রয়েছে। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে জরুরি মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদানও অব্যাহত রেখেছে।