বেশি রক্তচাপের সমস্যা থেকে একের পর এক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। শুধু হার্টের রোগ নয়, চোখের সমস্যা থেকে নানা অঙ্গের রোগও দেখা দিতে পারে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলেই ধীরে ধীরে মারণরোগে পরিনত হয় এই সমস্যা। তবে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও বাড়ি বসে কমিয়ে ফেলা যেতে পারে। রোজকার কিছু অভ্যাস এই রোগকে সহজেই সামাল দিতে পারে। আইএলএস হসপিটালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ জানিয়েছে, ঘরোয়া কয়েকটি পদ্ধতিতেই এই মারণরোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
ড্যাশ খাবারের পরিকল্পনা: খাবারের তালিকাকে ড্যাশ (ডায়েটারি অ্যাপ্রোচেস টু স্টপ হাইপারটেনশন) পরিকল্পনার ভিত্তিতে সাজানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। তাঁর কথায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রোজকার খাবারদাবারেই পরিবর্তন আনা জরুরি। এর জন্য খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে অতিরিক্ত শর্করা মেশানো খাবার, দুগ্ধজাত খাবার, বেশি পরিমাণে চর্বি রয়েছে এমন মাংস। তাহলে কোন কোন খাবার রাখা যাবে ডায়েটে? তারও হদিশ দিচ্ছেন চিকিৎসক। বেশি রক্তচাপের ঝুঁকি এড়াতে শাকসবজি, ফল ও গোটা শস্যদানার মতো খাবার ডায়েটে থাকা জরুরি।
এর পাশাপাশি মাছ, পোলট্রি মাংস, বাদাম ও বিনস জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত পটাশিয়াম যুক্ত খাবার যেমন কলা, অ্যাভোকাডো, শুকনো ফল, টম্যাটো, কালো বিনসও রাখা যেতে পারে খাবারের তালিকায়।
তবে এর পাশাপাশি আরও কয়েকটি বিষয়ে নজর দিতে বলছেন চিকিৎসক।
খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো: উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবার থেকে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো প্রথমেই জরুরি। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে রোজকার খাবারে ১৫০০ মিলিগ্রামের বেশি নুন খাওয়া মোটেই উচিত নয়। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরও রোজকার খাদ্যতালিকায় ২৩০০ মিলিগ্রামের বেশি নুন খাওয়া উচিত নয়। এই পরিমাণ নুন এক চা চামচ নুনের সমান।
ফলে এই পরিমাণের বেশি নুন খাওয়া যাবে না। নোনতা খাবার যেমন ভাজাভুজিও এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক। কারণ এই ধরনের খাবার সংরক্ষণের জন্য বেশি পরিমাণে নুন ব্যবহার করা হয়। যা মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়।