দিবসের যেন আর শেষ নেই। একদিন একাধিক দিবস এসেও আমাদের দরোজায় কড়া নাড়ে।বাবা দিবস, মা দিবস সহ বছরে কতশত দিবস আমাদের পালন করতে হয়। এসব দিবস কেন্দ্রিক আমাদের আবেগেরও কমতি থাকে না। এত দিবসের ভিড়ে স্বামীর প্রশংসা এটাতো এক্কেবার অভিনব। তবে জীবনযাপনে এটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, তাৎপর্যবাহী।কারণ স্বামীর সাথেই থাকতে হয় জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সুখ, দুঃখ, হাসি, কান্না, আনন্দ, বেদনায়।
‘সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে’- কথাটি যত সত্যই হোক না কেন, সুখের সংসারে স্বামীরও আছে যথেষ্ট অবদান। সে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতেই আজ পালিত হচ্ছে ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ বা স্বামীর প্রশংসা দিবস। যেসব স্ত্রী স্বামীর প্রশংসা করার সময়-সুযোগ পান না- আজ অন্তত স্বামীর প্রশংসা করুন।
দিনটির প্রতিপাদ্য শুনে মনে হতে পারে- স্বামীরা বোধহয় কোনোকালেই স্ত্রীর প্রশংসা পান না। অনেক স্বামীর কাছে কথাটি সত্য মনে হতেও পারে। তারা অন্তত এই দিনটিতে সান্ত্বনা পেতে পারেন।
প্রতি বছর এপ্রিলের তৃতীয় শনিবার স্বামীর প্রশংসা দিবস বা ‘হাজব্যান্ড অ্যাপ্রেসিয়েশন ডে’ উদযাপন করা হয়।
তাই স্বামীর কোনো কাজের প্রশংসা করতে চাইলে আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন। কারো প্রশংসা করা কিন্তু খারাপ নয়, বরং খুবই ইতিবাচক একটি গুণ। এছাড়া, কাউকে প্রশংসা করা হলে তিনি উজ্জীবিত হন। সুতরাং কারো স্বামী যদি কোনো কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তাকে উৎসাহ দিতে আজকের দিনটি ভালো উপলক্ষ হতে পারে।
এই দিবসটির কীভাবে প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। তবে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি পরিবার গড়ে ওঠে।
তবে স্ত্রীদের এ নিয়ে আফসোসের কিছু নেই। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ অর্থাৎ স্ত্রীর প্রশংসা দিবস। সেদিন না হয় কড়ায়-গণ্ডায় স্বামীর কাছ থেকে প্রশংসার হিসাব বুঝে নেবেন। আর স্বামীদের মনে রাখতে হবে, সংসার সুখের করতে স্ত্রীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠার প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে শুরু করুন। তার আগে দেখুন প্রাপ্যটা বুঝে নেওয়া যায় কিনা! কেননা আজ আপনারই দিন।