কাজের প্রয়োজনে বেশিক্ষণ বসে থাকা, নিয়মিত ব্যায়াম না করা ফ্যাটি লিভারের অন্যতম কারণ বলে মনে করা হয়। এক্ষেত্রে মানতে হয় ডাক্তারের অনেক বারণ। বারণ থাকা সত্বেও আমরা এমন সব খাবারের পেছনে ছুটি, যা মোটেও ফ্যাটি লিভারের জন্য নিরাপদ নয়। তবে, বিশেষজ্ঞদের কথায় ডাবের পানি অনায়াসে কমিয়ে দিতে পারে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। ডাবের পানি ফ্যাটি লিভারের জন্য মোক্ষম দাওয়াই। আসুন তবে জেনে নেওয়া যাক ডাবের পানিের কী কী গুণ।
বাইরের খাবারের প্রতি তীব্র ঝোঁক, নিয়মিত শরীরচর্চা না করা, বসে বসে অনেকক্ষণ কাজ করার ফলে শরীরে অনেক ধরনের রোগ বাসা বাঁধে। তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। অনিয়মিত অনিয়ন্ত্রিত খাবারের ফলে লিভারে মেদ জমে। ৫-৬% মেদ জমা হলেই তা লিভারের জন্য বিপজ্জনক। আর তখনই দেখা দেয় লিভার ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধি।
প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডাবের পানি রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। ডাবের পানির মধ্যে রয়েছে ইলেক্টোরাইট, পটাশিয়াম। এই দু’টি উপাদান লিভারের জন্য খুবই ভালো। সেই সঙ্গে ডাবের পানি শরীরে পানিের ঘাটতিও পূরণ করে।
ডাবের পানি খেলে শর্করা থাকে নিয়ন্ত্রণে। শর্করা কম থাকাই লিভারের সমস্যা এড়ানো যায়। ডাবের পানিে শর্করার পরিমাণ বাজার চলতি অন্যান্য পানীয়র থেকে কম। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগলে চোখ বন্ধ করে ডাবের পানিে চুমুক দিতে পারেন।
লিভারের সংক্রমণ এড়ায় ডাবের পানি। এর মধ্যে ভিটামিন সি, ফাইটনিউট্রিয়েন্ট-সহ একাধিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এই উপাদানগুলি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। একইসঙ্গে লিভারকেও সুস্থ রাখে। তাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা এড়াতে প্রথম পছন্দ ডাবের পানি কেন হবে না?
লিভারের সমস্যা যখন ঘরে ঘরে, চিকিৎসকের প্রথম পরামর্শ তখন ডাবের পানি। ডাবের পানিে পটাশিয়াম থাকে ভরপুর। এই পটাশিয়াম লিভার সুস্থ রাখার জন্য খুবই দরকার। তাই লিভারের যত্ন নিতে ডাবের পানি খেতেই হবে।
অনেকে বাজার চলতি ড্রিঙ্কস বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু তাদের এই অভ্যাস আগেই ছাড়তে হবে। পরিবর্তে ডাবের পানি খান। ডাবের পানিের স্বাদ অন্যান্য পানীয় তুলনায় সুমিষ্ট। তাই ডাবের পানিের ওপর ভরসা করাই যেতে পারে। পানিের ঘাটতিই লিভারের সমস্যার আসল কারণ। দিনের মধ্যে ৬-৮ গ্লাস পানি অবশ্যই খান।