ডলারের হার কমে যাওয়ায় ২০২২ সালের এপ্রিলের তুলনায় এ বছর বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স ১৯.৪৪% কমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে মোট রেমিট্যান্স ছিল ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার। যা আগের মাসের তুলনায় প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার কম।
মার্চ মাসে ডলারের উচ্চ হারের কারণে বাংলাদেশ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স পেয়েছে।
সরকারের ২% প্রণোদনার পদক্ষেপ নিয়েছে। তবুও গ্রিনব্যাকের নিম্ন হারের কারণে অফশোর কর্মীরা বৈধ উপায়ে নিজের উপার্জন দেশে পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন না বলে মনে করছেন অনেকেই।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) মঙ্গলবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য ডলারের বিনিময় হার ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৮ টাকা করেছে।
বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) অক্টোবরে জানিয়েছিল, কিছু আমদানিকারক কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য বৈধ পন্থা ব্যবহার না করে আন্ডার ইনভয়েস তৈরি করছে। এছাড়া হুন্ডি বাজার থেকে রেমিট্যান্স ডলার কিনে বিদেশি সরবরাহকারীদের দিচ্ছে। ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে যে রেমিট্যান্স আসে তার মাত্র ৫১% আসে আনুষ্ঠানিক ও বৈধ উপায়ে।
কর্মকর্তাদের মতে, বাকি ৪৯% রেমিটেন্স আসে হুন্ডির (অবৈধ চ্যানেল) মাধ্যমে।