গরম কিংবা বৈরী পরিবেশে শিশুরা দ্রুতই হয়ে ওঠে ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত। তাই শিশুর যত্নে খাবারের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞরা।
সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে তাই অপ্রয়োজনীয় খাবার যেমন আইসক্রিম, চকলেট শিশুর ডায়েট লিস্ট থেকে বাদ দিতে হবে। ক্ষতিকর খাবারের তালিকা কমিয়ে বাড়িয়ে তুলতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকা। খাবার গ্রহণের এ অভ্যাস শিশুকে সব সময় চাঙা আর ফুরফুরে রাখবে।
তবে বৈরী কিংবা পরিবর্তিত পরিবেশে অথবা শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে শিশু যদি ক্লান্ত ও নিস্তেজ অনুভব করে তবে এ সময় চটজলদি শিশুকে খেতে দিতে পারেন বিশেষ ৩ খাবার।
ডিম: প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর ডিম। শরীর সুস্থ ও এনার্জিক রাখতে শিশুকে প্রতিদিন একটি করে সেদ্ধ ডিম খাওয়ান।
আলু: কার্বোহাইড্রেটের সবচেয়ে ভালো উৎস আলু। আলুতে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড শিশুকে ভেতর থেকে চাঙা করে। তাই শিশুর নিয়মিত ডায়েটে একটি সেদ্ধ আলুও রাখেন।
দ্রুত ক্লান্তিবোধ দূর করতে সেদ্ধ আলু বা ডিমকে সামান্য ঘি দিয়ে মেখে কুসুমে সামান্য পরিমাণে লবণ মাখিয়ে শিশুকে খেতে দিন।
মুরগির মাংস: প্রোটিনের অন্যতম উৎস মুরগি। শিশুর পেশি মজবুত করতে, মেধার বিকাশে সপ্তাহে তিন দিন মুরগির মাংস খেতে দিন।
গরমে ক্লান্তিবোধ বেশি হলে শিশুকে দিতে পারেন লবণ, লেবুর রস, চিনি আর পুদিনা পাতার কুচি দিয়ে তৈরি সেরা পানীয়। এতে মুহূর্তেই কেটে যাবে ক্লান্তিবোধ আর যে কোনো কাজেও আসবে মনোযোগ ও সফলতা। তবে একসঙ্গে সব খাবার খেতে দেবেন না। প্রতি খাবারে ১০ মিনিট করে বিরতি রেখে শিশুকে খাবার খেতে দিন।