ভেন্যু জটিলতায় এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর মাঠে গড়ানো নিয়ে অনেকদিন ধরেই শঙ্কা ছিল। তবে গত মাসে মূল আয়োজক পাকিস্তানের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সম্মতি জানানোয় টুর্নামেন্টটি নিয়ে যাবতীয় অনিশ্চয়তা কেটে যায়।
পিসিবির প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেল অনুযায়ী এবারের এশিয়া কাপ হবে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ম্যাচ বেশি হবে শ্রীলঙ্কায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) চাওয়ামতো ভারতের সবগুলো ম্যাচই শ্রীলঙ্কায় রাখা হয়েছে।
এসিসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৩১ আগস্ট এশিয়া কাপ শুরুর কথা থাকলেও পূর্ব নির্ধারিত সূচির এক দিন আগেই টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠতে পারে। তবে কলম্বোর ফাইনাল দিয়ে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এ আসরের পর্দা নামবে ১৭ সেপ্টেম্বর। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইব্রিড মডেলের আগের সূচি অনুযায়ী, পাকিস্তানে গ্রুপপর্বের ৪ ম্যাচ একটি শহরেই হওয়ার কথা। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের একমাত্র ভেন্যু হিসেবে শুধু লাহোরের নাম ছিল। তবে এ মাসেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেওয়া জাকা আশরাফ সর্বশেষ খসড়া সূচিতে দ্বিতীয় ভেন্যু হিসেবে মুলতানের নাম যুক্ত করেছেন। তবে শুধুমাত্র এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচটাই মুলতানে গড়াবে। গ্রুপ পর্বের তিনটি ও সুপার ফোরের একটি ম্যাচ হবে লাহোরে।
নতুন খসড়া সূচি অনুযায়ী, মুলতানে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মু্খোমুখি হবে পাকিস্তান ও নেপাল। ২ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে পরস্পরের মোকাবিলা করবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। পরদিন অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ অভিযান। টুর্নামেন্টে নিজেদেরে প্রথম ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা।
গেল বছর টি-টোয়েন্টি সংস্করণে অনুষ্ঠিত হলেও এশিয়া কাপের পরবর্তী আসর ওয়ানডে ফরম্যাটে আয়োজিত হবে। ছয় দলের অংশগ্রহণে এবারের এশিয়া কাপে ভারত ও পাকিস্তান একই গ্রুপে পড়েছে। “এ” গ্রুপে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে রয়েছে নেপাল। অন্যদিকে “বি” গ্রুপে রয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান।
দুই গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবে ধরা হয়েছে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশকে। নিজেদের গ্রুপের পয়েন্ট তালিকায় এই চার দল যে অবস্থানেই থাকুক না কেন; পাকিস্তানকে এ১, ভারতকে এ২, শ্রীলঙ্কাকে বি১ ও বাংলাদেশকে বি২ বিবেচনা করা হবে। যদি নেপাল ও আফগানিস্তান সুপার ফোরে পা রাখে, তাহলে তারা যে দলকে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় করে দেবে, সেই দলের জায়গা নেবে। যেমন: “বি” গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান সুপার ফোরে জায়গা করে নিলে বাংলাদেশের পরিবর্তে আফগানরা বি২ হিসেবে বিবেচিত হবে।
বাছাইপর্ব ছাড়া আগামী এশিয়া কাপ মোট ১৩টি ম্যাচ হবে। এর মধ্যে ছয়টি লিগ ম্যাচ আর ছয়টি সুপার ফোরের ম্যাচ। লিগ পর্বে প্রতি গ্রুপের শীর্ষ দুই দল পা রাখবে সুপার ফোরে। সুপার ফোরের শীর্ষ দুই দল খেলবে ফাইনালে।
খসড়া সূচিতে সুপার ফোরের একটি ম্যাচের দিনক্ষণ জানানো হয়েছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর লাহোরে এ১ (পাকিস্তান) ও বি২ (বাংলাদেশ) মুখোমুখি হবে। ভারত-পাকিস্তান দুই দলই যদি নিজ নিজ গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে ওঠে, তাহলে ১০ সেপ্টেম্বর ক্যান্ডিতে আবারও মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী।