Sunday, April 28, 2024

আল-শিফা হাসপাতালে তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরাইল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলও নিশ্চিত করেছে, তারা আল-শিফা হাসপাতালে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।

বুধবার হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইসরাইলি ট্যাংক ও বুলডোজার প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফার একজন ডাক্তার। খবর বিবিসি ও আলজাজিরার।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘গোয়েন্দা তথ্য এবং অপারেশনাল প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে’ আল-শিফা হাসপাতালের বেশ কিছু অংশে তারা ‘হামাসের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ও টার্গেটেড অভিযান’ চালাচ্ছে।

সামাজিকমাধ্যমের এক বিবৃতিতে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, ‘চিকিৎসা দল এবং আরবি ভাষাভাষীদের অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত তাদের বাহিনী’ এ অভিযান চালাচ্ছে। এ ছাড়া জটিল ও সংবেদনশীল এই পরিবেশে অভিযান চালাতে প্রস্তুত হওয়ার জন্য ওই দলটি নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নিয়েছে’ বলেও দাবি করা হয়েছে।

ইসরাইলের দাবি, ‘হামাস যাদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে সেসব বেসামরিক নাগরিকদের কোনো ক্ষতি হবে না’। আইডিএফ বলেছে, তারা সম্প্রতি গাজার কর্তৃপক্ষকে হাসপাতালের মধ্যে সব সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে বলেছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

বিবিসি অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে ইসরাইলি এ দাবি যাচাই করতে পারেনি বলে জানানো হয়েছে।

গাজার বৃহত্তম এই চিকিৎসাকেন্দ্রে রোগী ও চিকিৎসাকর্মীসহ হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক হাসপাতালে এবং এর আশপাশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানা গেছে। অবশ্য হামাস তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য হাসপাতাল ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং এ বিষয়ে কোনো আন্তর্জাতিক কমিটিকে এসে পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জোর দিয়ে দাবি করছে, হাসপাতালের নিচে অবস্থিত একটি টানেলে হামাস কমান্ড-অ্যান্ড-কন্ট্রোল সেন্টার পরিচালনা করছে। তবে হামাস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি অস্বীকার করেছে।

পরে যুক্তরাষ্ট্রও দাবি করে, হাসপাতালের নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার রয়েছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।

এদিকে আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজার আল-শিফা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ইসরাইলি ট্যাংক ও বুলডোজার প্রবেশ করেছে। আল-শিফার ডা. মোখাল্লালাতি বলেছেন, ইসরাইলি বাহিনী আল-শিফা কমপ্লেক্সের ভেতরে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যাপ্ত তথ্যের ঘাটতি রয়েছে।

মোখাল্লালাতি বলেন, ‘আমরা হাসপাতালের কেন্দ্রে ট্যাংক ও বুলডোজার দেখেছি।’

তিনি বলেন, তিনি হাসপাতালের জরুরি কক্ষের ওপরে মূল ভবনটি পরিদর্শন করেছেন এবং ইসরাইলি বাহিনী সেখানে প্রবেশ করেছে বলে মনে হচ্ছে না। কিন্তু তিনি বলেছেন, তিনি অন্যান্য ভবনের অবস্থা জানেন না, যেগুলোতে রোগী ও বাস্তুচ্যুত লোকেরা অবস্থান করছেন।

মোখাল্লালাতি আলজাজিরাকে বলেছেন, ‘এখনো ভারি গোলাগুলি হচ্ছে এবং আমরা সর্বত্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাচ্ছি।’

- Advertisement -spot_img

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

সর্বশেষ খবর