শেন ম্যাকডারমট ফিল্ডিং কোচ হয়ে আসার পর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ে। প্রতিটি সিরিজেই দেখা যাচ্ছে এর প্রমাণ। ভালো ফিল্ডিং করতে পারলে ক্রিকেটারদের জন্য ‘গোল্ডেন স্টাম্প’ পুরস্কারও নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
গত ডিসেম্বরে ঘরের মাঠে ভারত সিরিজে ক্যাচ লুফে নেয়ার ওপর বাড়তি জোর দেন ম্যাকডারমট। সেই সিরিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি ওয়ানডেতে মোট ১৫টি ক্যাচ লুফে নেয় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা।
জানা গেছে ভারত, ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ভিন্ন সংস্করণের সিরিজ শেষে ফিল্ডারদের জন্য ‘গোল্ডেন স্টাম্প’ পুরস্কারের ব্যবস্থা করে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর বেশ কয়েকবারই এই পুরস্কার জিতেছেন শান্ত। ফিল্ডিংয়ের ওপর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বাড়তি পরিশ্রমের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শান্ত বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকবার গোল্ডেন স্টাম্প পেয়েছি, সম্ভবত সর্বোচ্চ সংখ্যকবার আমিই পেয়েছি। প্রস্তুতিতে একটি পরিবর্তন এসেছে, সবাই আগের চেয়ে বেশি পরিশ্রম করছে। কেউ যদি কোনো একটা জায়গায় একটু দুর্বল থাকে, তাহলে সে দলীয় ফিল্ডিংয়ের পর বাড়তি অনুশীলন করে যেন তার মান বাড়ে। এখন যেটা হয়, ম্যাচে যদি হাফ চান্সের ক্যাচ থাকে তাহলেও আমরা সেটা লুফে নিতে পুরোপুরি চেষ্টা করি।’
‘সবাই যার যার ভূমিকা নিয়ে খুব পরিষ্কার। কে, কখন, কোন সময়ে, কোথায় ফিল্ডিং করবে- সবাই সব জানে। আমরা কি রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং করব নাকি আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং করব এটা এখন সবাই জানি। আমাদের গেম সেন্সের উন্নতি হয়েছে। আমরা এখন জানি কোন ব্যাটারের জন্য কোন পরিস্থিতিতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াতে হবে।’
২০২৩ সালে এখন পর্যন্ত ছয়টি ওয়ানডে, ছয়টি টি-টোয়েন্টি এবং একটি টেস্টে ৫২টি ক্যাচ লুফে নিয়েছে শান্ত-মেহেদী হাসান মিরাজরা। এ সময়ে ১২টি ক্যাচ হাতছাড়াও করেছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। এর মধ্যে তিনটি অবশ্য হাফ চান্স ছিল।
ম্যাকডারমট ছাড়াও ফিল্ডিংয়ে ক্রিকেটারদের মানসিকতা বদলে অবদান রেখেছেন হেড কোচ চান্দিকা হাথুরুসিংহেও। জানা গেছে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে সবসময়ই ফিল্ডিংয়ের ওপর বাড়তি নজর দেন হাথুরুসিংহে।